নুরুল ইসলাম খান, কলকাতা, আপনজন: ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বিডিও এবং এসডিও সহ একাধিক পদে আসীন হয়ে বাংলার মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়।সেই পরীক্ষায় ৩০০ নং বাংলা বাধ্যতামূলক পরীক্ষার গেজেট পাশ হলেও সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার।সেই পরীক্ষায় স্থান পেয়েছে উর্দু ও হিন্দি!এই দুঃখ জনক বিষয় কে কেন্দ্র করে শনিবার বাংলা পক্ষ সংগঠনের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা প্রেস ক্লাবে করল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন এই রাজ্যের ৮৬% মানুষ বাঙালি। বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া প্রতিটা বাঙালির অধিকার৷ তাই বাংলা পক্ষ দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সেই লড়াই চালিয়েছে ।সেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক করেও সেটা বাতিল করা মানে বাংলার মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করা হল বলে তিনি জানান। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি বৃহত্তরে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। তিনি আর বলেন এই বিষয়ে সরকার তাদের দাবি মেনে২০২৩ সালের ১৫ ই মার্চ গেজেট নোটিফিকেশন বের করে সরকার জানিয়েছিল। বাংলার বঞ্চিত হওয়া বাঙালি সহ ভূমিপুত্র দের চাকরি প্রার্থীরা যে বঞ্চিত হলো সেটাই বললেন গর্গ। তিনি বলেন প্রত্যেকটি রাজ্যে আঞ্চলিক ভাষা বাধ্যতামূলক হলেও বাংলা ব্রাত কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।বাংলায় হিন্দি-উর্দু অপশন কেন থাকবে? কার স্বার্থে? বাংলার প্রতি এই বিদ্বেষ নিয়ে মুখ খুলেছেন বুদ্ধি জীবী মহল। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলেছেনবাঙালি ভূমিপুত্ররা কি বিডিও অফিসে গিয়ে হিন্দি/উর্দু বলবে? বাংলার জনসংখ্যার মাত্র ২% হল উর্দু ভাষী৷ বাংলায় ৯৫% মুসলমান জাতিতে বাঙালি।তাহলে কেন এই বঞ্চনা কেন এটা বাঙালি মুসলমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। বাঙালি মুসলমানরা গ্রামে থাকে, এটাই কি বাঙালি মুসলমানের পাপ? “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” এবং “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে বাঙালি আবেগ কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালে ভোট বৈতরণী পার করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এখন কেন বাঙালিকে বঞ্চনা? কেন হিন্দি-উর্দু তোষণ? উর্দু ভাষী ও হিন্দি ভাষীরা শহরাঞ্চলে থাকে বলে তাদের এত প্রাধান্য? বাংলায় বাঙালির ভোট কিন্তু ৮৬%. বহিরাগতরা মাত্র ১০%।সংগঠনের সাফ কথা ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় হিন্দি-উর্দু ঢোকানো চলবে না। বাংলা বাধ্যতামূলক চাই। অতএবএটা দলমত- ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটা বাঙালির লড়াই। এই লড়াই বাংলা ও বাঙালি জিতবেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct