ইট ভাটা

বাপি ফকির (প্রতিবন্ধী)

চাকদাহাটে ইদ ভাটা আছে, আমি সেখানে নিয়মিত ঘুরতে যায়। ইট ভাটায় যারা কাজ করে তাদের সঙ্গে আমার পরিচয়,তারা আমার খুব ভালো বাসে।তাদের বাড়ি কেনিন, তাদের আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। তাদের বললাম আপনাদের ছেলে ও মেয়েদের আমি পড়াবো।তারা রাজি হয়ে গেলো, আমি প্রতিবন্ধী তাই চিন্তা করতে লাগলাম কী করে এদের বই কিনে পড়াবো। তাই আমার খাবার খাওয়া পয়সা জমিয়ে। সেই টাকা দিয়ে বই খাতা কিনে পড়াতে লাগলাম। আমি প্রতি তাদের জীবনের দুঃখ কষ্ট কথা শুনি। তাদের জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা পান। বললেন ১০০ টাকা রোজগার করে। তাদের বাচ্চা সারা দিন খালি গায়ে থাকে। একটা ফরার মতো জামা নেই। দেখে আমি মনে খুব কষ্ট পায়,আমি বললাম তোমাদের কষ্ট দেখে আমার মনে কষ্ট হচ্ছে। কী করবো আমি প্রতিবন্ধী আমি গরিবের সন্তান কোথায় পাবো। বর্ষাকালে তাদের খুব কষ্ট হয়, সেই সময় ইদ ভাডায় কাজ বন্ধ থাকে। তাদের মধ্যে একজন বলেছিলেন,বাপু সংসার চালানো মতো টাকা তাকে না। খুব কষ্ট জীবন চলে যায়, তাদের আমি বললাম আপনার ছেলে মেয়েদের আমি পড়াবো যে কয়েক মাস এখানে থাকবেন। আমি পড়াবো বিনামূল্যে, আমি সব বই খাতা সব কিনে পড়ায়। তারা খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করছে,দেখে আমার আনন্দ লাগছে। এদের পড়িয়ে আমার খুব মজা লাগছে। আমি চাই ধুলোবালি মাখা ছেলে মেয়েদের সামাজের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তাদের মানুষ মতো মানুষ করতে চাই। তাদের সমাজে উঁচু পথে বসাতে চাই।

ইসরায়েলে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দেশজুড়ে বেজে উঠল সাইরেন

বর্ধমানে মহাসমারোহে পালিত হল জৈন সম্প্রদায়ের মহাবীর জয়ন্তী

ওবিসি নিয়ে তিনমাসের মধ্যে নতুন করে সমীক্ষা করবে রাজ্য