সন্ন্যাসী কাউরী, ডেবরা, আপনজন: বালিচক উড়াল পুলের কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন ডেবরার বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ড. হুমায়ুন কবীর। শুক্রবার বালিচক রেল ক্রসিং এ নবনির্মিত উড়ালপুলের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বালিচক উড়াল পুলের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি ওঠে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে। উড়াল পুলের কাজ ধীর গতিতে চলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। বর্তমানে সার্ভিস রোড বন্ধ থাকায় অনেকটা ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের । ফলে নিত্যযাত্রীরা প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। উড়ালপুলের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে খড়গপুর ডিআরএম অফিস, জেলা শাসকের দপ্তর, ডেবরা বি ডি ও অফিসে ডেপুটেশন ও স্বারকলিপি প্রদান করা হলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। উড়ালপুল নির্মাণে টালবাহানার অভিযোগ ওঠে নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এর আগেও তৎকালীন এসডিও আজমল হোসেন, বি ডি ও সিঞ্জিনী সেনগুপ্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শনে যান এবং দ্রুত উড়ালপুল এর কাজ শেষ করার অনুরোধ জানান। পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যস্ততম রাস্তা ডেবরা - পটাশপুর রাজ্য সড়ক। বালিচক স্টেশনের অনতিদূরে জনবহুল এলাকায় ওই সড়কের উপর রয়েছে রেলগেট । উড়ালপুল না থাকায় প্রতিনিয়ত যানজট সমস্যায় পড়তে হয় পথচলতি মানুষকে। সাধারণ মানুষের সমস্যা দূর করতে দীর্ষদিন ধরে বালিচক উড়ালপুলের দাবি তুলে আসছিলেন বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি এবং ডেবরা বালিচক তথা জেলাবাসী । বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি রেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে বালিচক উড়ালপুল নির্মাণের প্রস্তাব দেন। অবশেষে ২০১১ রেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার বালিচক উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১২ সালে মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উড়ালপুল নির্মাণের অনুমোদন পায়। ওই বছরই মুখ্যমন্ত্রী ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে বালিচক উড়ালপুলের শিলান্যাস করেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঠিক হয়, ই. পি. সি প্রক্রিয়ায় ৭৩০ দিনে উড়ালপুল নির্মাণের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে । ২০২১ সালের মার্চ মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও কাজ সম্পন্ন হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct