বাবলু প্রামানিক, সাগর, আপনজন: শনিবার দুপুরে শঙ্করাচার্য মঠে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দজী মহারাজ। ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন নিয়েতিনি বলেন, শ্রীরাম জি যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত হোক এটা আবশ্যক। বিধি নিষেধ মেনে শাস্ত্রসম্মত বিধায় ভগবানের প্রতিষ্ঠা, পূজা অর্চনা হোক এ নিয়ে কোনো শংকরাচার্যদের মধ্যে মতভেদ নেই। শাস্ত্রের উপর শাসন করা কাজ শংকরাচার্যের। মূর্তি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে শাস্ত্রসম্মত বিধি নিষেধ পালন করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। দর্শন, বিজ্ঞান, ব্যবস্থা এই তিনটিকে নিয়ে সংবিধান চলে। সংবিধানের সীমারেখায় ধর্মীয় আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে বিধি-নিষেধ পালন না করে সমস্ত ক্ষেত্রে দখল করাকে রাজনীতিতে উন্মাদ বলে মানা যায়। সংবিধানে এটা জঘন্য অপরাধ। তবে আমাদেরও একটা সীমারেখা আছে। কোথায় যাব ? কি খাব? কোথায় হস্তক্ষেপ করা উচিত? কোথায় শাসন করা উচিত? এটা শংকরাচার্যের কাজ নয়। মূর্তি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে শাস্ত্রসম্মত বিধি-নিষেধ পালন করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। সেটাকে অতিক্রম করা মানেই ভগবানের সঙ্গে বিদ্রোহ করা। তারা ধ্বংস হবে। আর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে বলেন, ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় যাওয়ার কোন কর্মসূচি আমার নেই। একজন উদ্বোধন করবেন আর আমি বসে হাততালি দেব। দু তিনটি রাজনৈতিক না যাওয়অয় তাদেরকে হিন্দু বলা যাবে না প্রশ্নে তিনি জানান, সারা বিশ্বে ২০৪ টি দেশের মধ্যে ৫৬ টি হিন্দু দেশ আছে। অনেকেই নিমন্ত্রণ পায় নি। তারা এই অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না। তাহলে তারা কি সনাতন হিন্দু নয়। সর্বোপরি আমি তো যাচ্ছি না। তাহলে আমি কি হিন্দু সনাতন ধর্মের নই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct