আপনজন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের আহ্বানে ‘ইন্ডিয়া’ জোট কমিটির সঙ্গে কোনও বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।কংগ্রেস প্যানেল বিভিন্ন রাজ্যের ‘ইন্ডিয়া’-ভুক্ত দলগুলির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, কংগ্রেস এই ধরনের বৈঠকের জন্য দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং জানানো হয়েছে যে তারা আলোচনার জন্য কোনও প্রতিনিধি পাঠাতে আগ্রহী নয়।
তারা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেসকে দুটি আসনের প্রস্তাব দিয়েছে- যা তারা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিল। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি সংসদীয় আসন রয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, প্রস্তাবটি খুব কম এবং গ্রহণ করা কঠিন। তবে তৃণমূলের প্রস্তাবের যে কোনও পরিবর্তন কেবল মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। মেঘালয়ের একটি এবং আসামের অন্তত দুটি আসনে লড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ার একটি আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই করার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও তারা এর জন্য চাপ দেবে না এবং উপকূলীয় রাজ্যে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে।পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গে দলের এক প্রবীণ নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট ভাগের উপর ভিত্তি করে তৃণমূল প্রস্তাব দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে অন্তত ৩৯টিতে অতীতে কংগ্রেসের ভোট ভাগ ছিল পাঁচ শতাংশেরও কম। রাজ্যে কংগ্রেস ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২.৯৩ শতাংশ, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১২.২৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫.৬৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বের উচিত বাংলার বাস্তবতা স্বীকার করা। কারণ তারা দুর্বল। ওই নেতা বলেন, আমরা বাংলায় লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত, আমরা ইন্ডিয়া জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিজেপিকে পরাজিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, তাই দিল্লিতে গিয়ে ফের আলোচনা করার দরকার নেই।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ২২টি, কংগ্রেস দুটি এবং বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct