জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: আবারো জমি জালিয়াতি চুঁচুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসারিপাড়া ভাতৃসংঘ এলাকায়। অভিযোগ ঐ এলাকার বাসিন্দা ধীরেন্দ্রনাথ জানার বিরুদ্ধে।ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসারিপাড়া ভাতৃ সংঘ মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ধীরেন্দ্রনাথ যানা, ওই এলাকারই এক ব্যক্তি রাজা হরিকে একটি জমি বিক্রি করেছিলেন, ওই জমির ব্রোকারী করেছিল ওই এলাকারই দুজন শম্ভু মন্ডল ও প্রসেনজিৎ মন্ডল, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রাজা হরি ধীরেন্দ্রর কাছ থেকে জমিটি কিনেছিলেন, যদিও রীতিমত রেজিস্ট্রিও করে দেওয়া হয় রাজাকে, রেজিস্ট্রেশন সহিত খরচ হয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, কয়েকদিন পরে জমি দখল নিতে চাইলে রাজার কাছ থেকে কটা দিন সময় চেয়ে নেয় ধীরেন্দ্র, পরবর্তীতে জমির দখল না পাওয়ায়, ম্যাপ দেখে জমিতে বেড়া দিতে গেলে, রাজা জানতে পারেন যে জমি তিনি কিনেছেন সেই জমি ধীরেন্দ্রর নয়, রাজা জানেন বাবা মায়ের জমানো টাকা থেকেই কিনেছিলাম জমিটি, এখন জানতে পারছি ওই জমিটি কিনে প্রতারণা শিকার হয়েছি, প্রতারণা শিকার হয়ে রাজার বোন করিসমা একবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন, এলাকাবাসী দরজা ভেঙে তাকে বাঁচান, এ বিষয়ে ধীরেন্দ্রনাথ জানার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি এখানে এখন থাকেন না, কখনো কখনো আসেন, তবে এলাকার মানুষ জানান এই ধরনের প্রতারণা করে গা ঢাকা দিয়েছে ধীরেন্দ্র, তবে জমি প্রকার শম্ভু মন্ডল ও প্রসেনজিৎ মন্ডল জানান, এই জমি বিক্রি করে আমরা আড়াই লক্ষ টাকা কমিশন পেয়েছিলাম, সেটা আমরা রাজার হাতে তুলে দিয়েছি, অবশেষে বাকি টাকা পাওয়ার আশায় রাজা চুঁচুড়া থানার দারস্ত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যদিও চুঁচুড়া থানা এটি জেনারেল ডায়েরি অথবা এফআইআর হিসেবে নিয়েছেন কিনা এখনো জানা যায়নি, তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই যে মানুষটার জমি নেই সেই মানুষটা অন্য একজনকে কিভাবে রেজিস্ট্রি করে দিল। সমস্ত ঘটনায় দ্বন্দ্বে রাজা হরি থেকে এলাকাবাসী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct