আপনজন: আধুনিক যুগে প্লাস্টিক আর কাগজের সামগ্রীর জেরে ওষ্ঠাগত প্রাণ কুম্ভকারদের। তাদের এখন মাটির সামগ্রী তৈরি করার লড়াই সমগ্র রাজ্য জুড়েই। তার উদাহরণ অরণ্য ঘেরা ঝাড়গ্রাম। এই ঝাড়গ্রামেই বহু গ্রামের মানুষ হাতের নানান জিনিস তৈরি আর বিক্রি করেই জীবনযাপন করেন। বর্তমানে কুম্ভকারদের মাথায় হাত। বিক্রি নেই, কষ্ট করে তৈরি করা মাটির জিনিসপত্রের। টান পড়েছে রুজি রোজগারে। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের নয়াঁগা গ্রাম এখানেই বাস করেন ১০০ থেকে ১৫০টি কুম্ভকার পরিবার। মাটির তৈরী জিনিসপত্র বিক্রি করেই চলে জীবনযাপন। বর্তমানে রুজি রোজগারে টান পড়েছে ওই কুম্ভকার পরিবার গুলির। বাজারে এখন বেড়ে চলেছে প্লাস্টিক, অ্যালুমোনিয়াম এর জিনিসপত্রের বিক্রি ও তার ব্যবহার। তাই মাটির তৈরী জিনিসপত্রের ব্যবহার কমেছে। কমেছে বিক্রির হার। এর ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। পড়েছে সংসারে টানাপোড়ান, মৃৎশিল্প উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, ফাইবার, অ্যালুমোনিয়াম এর দাপটে মাটির শিল্প প্রায় বিলুপ্ত। ফলে জেলার প্রতিভাবান মৃৎ শিল্পীরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। আর যারা রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct