আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে করা অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে মালদ্বীপ বয়কটের আহ্বান জানানো ব্যক্তিদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এর আগে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটারও।পান্ডিয়া বলেছেন, তিনি ‘ভারতকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা দেখে খুবই দুঃখিত’। পরের ছুটিতে তিনি ভারতেই কোনো সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।সম্প্রতি মোদি ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরি লাক্ষাদ্বীপ সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আবেদন করেছিলেন তিনি। সে দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে খুব দূরে নয়। এমনিতে মালদ্বীপে ভারতের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পর্যটকও যান। মালদ্বীপের অর্থনীতির এক–তৃতীয়াংশই পর্যটন-নির্ভর। এর বিপরীতে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে মোদিকে ‘ভাঁড়’ এবং ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়। পরে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তা মুছেও দেওয়া হয়।
এরপর তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করে মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। এএফপির মতে, মালদ্বীপকে সাধারণত ভারত তাদের প্রভাবপুষ্ট বলেই মনে করে। ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভারতের বলিউড ও ক্রিকেট তারকারা নিজেদের দেশের সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ করতে ভারতীয়দের আহ্বান করছেন। সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়না লিখেছেন, ‘মালদ্বীপ কয়েকবার গেছি এবং সব সময়ই এর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছি। আমার বিশ্বাস এখন আমাদের আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এক পোস্টে লেখেন, ৫০তম জন্মদিনে তিনি ভারতের একটি সৈকতে গিয়েছিলেন, ‘এ উপকূলীয় শহরে আমরা যা চাই, সবই আছে, এমনকি এর চেয়েও বেশি। দারুণ সব স্থানের সঙ্গে অসাধারণ আতিথেয়তা আমাদের দারুণ সব স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct