জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: ১৪ টি ছাত্রকে কোন কিছু কারণ না জানিয়ে ‘টিসি’ (স্থানান্তরিত শংসাপত্র) দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা কাশ্বাড়া ইয়াসিন মন্ডল শিক্ষানিকেতন স্কুলে। কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটি। জানা গেছে, কাশ্বাড়া ইয়াসিন মন্ডল শিক্ষা নিকেতন স্কুলে দীর্ঘদিন যাবত একটি স্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে, সেই হোস্টেলে আর্থিকভাবে অসম্পূর্ণ ছাত্রদের থেকে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা রয়েছে, ওই হোস্টেলে প্রায় ৭০ জনের মত ছাত্র থেকে পড়াশোনা করত, হঠাৎ করে ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ১৪ জন ছাত্রকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দেন এবং বাকি অভিভাবকদের জানিয়ে দেন, এই হোস্টেলে যে সকল ছাত্ররা থাকবে তাদের কোনো রকম দায় দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতে পারবে না। এখানে কোথায়? চরম উৎশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় অভিভাবকদের মাঝে, বেশ কয়েকবার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে কারণ জানতে চাইলে তাদের সাথে কোন রকম কথা বলা হয়নি বলেই অভিযোগ, কেন কি কারণে ১৪ জন ছাত্রকে স্কুল থেকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল তার কারণ কিছুতে জানতে না পেরে, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ সকল অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান, তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই এই স্কুলে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তখন ম্যানেজিং কমিটি কোথায় ছিল। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে মতামত করেই হোস্টেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তিনি জানান হোষ্টেলে শিক্ষকদের মাইনে থেকে খাওয়া-দাওয়ার জন্য অর্থের অভাব তাই হোস্টেল চালানো সম্ভব হয়ে উঠছে না, তাই ম্যানেজিং কমিটির সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তি জানান বহু বছর ধরে চলে আসা এই স্কুলে বহু ছাত্ররাই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছেন, কোনদিন কোন অসুবিধা হয়নি, তাহলে আজ কেন হোস্টেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তানসেন আলী জানান যেসকল ছাত্রদের টিসি দিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদেরকে আবারো ভর্তি করা হবে, এবং যত ছাত্রই ভর্তি হতে চাক সকলকেই নেওয়া হবে, সমস্ত ঘটনায় কাঠগড়ায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি থেকে প্রধান শিক্ষক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct