নিজস্ব প্রতিবেদক, গোবরডাঙ্গা, আপনজন: রেশন দুর্নীতির অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক তৃণমূল নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অতি সক্রিয়তা নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া নারায়ণ গোস্বামী ও বনগাঁর তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস । উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ভোট আসলেই ইডি সিবিআই তৎপরতা দেখা যায় আবার ভোট মিটে গেলে তৎপরতা কমে যায়, তবে আইন আইনের পথে চলবে, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তার সাজা হবে, আইন আইনের পথে চলবে । বসিরহাট বা বনগাঁয় তদন্তকারী সংস্থার উপরে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে সেটা উচিত হয়নি, কেন্দ্র হোক বা রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা তাদের নিজস্ব গতিতে তদন্ত করবে বাঁধা দেওয়া উচিত নয় ৷ একই সুরে সুর মিলিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাসও ৷ উল্লেখ্য গতকাল বারাসাত জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মদক্ষ শেখ শাহাজাহান ও বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাতে যায় । শংকর আঢ্যর শশুর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় সাড়ে আট লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে ইডি, এবং রাত ১২:৩৫ মিনিটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একটা চিঠি দেখিয়ে শংকর আঢ্য কে গ্রেফতার করে ইডি, অন্যদিকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়ে কয়েকজন আধিকারিক আহত হন, সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় কার্যত দেখা গেল সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান বা বনগাঁর শংকর আঢ্যের পাশে দাঁড়ালো না দল । দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন একাধিক নেতা । অন্যদিকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, তৃণমূলের আমলে শংকর আঢ্য ফুলে ফেঁপে উঠেছে ৷ যে শংকর একসময় চা বিক্রি করতো ফুটপাতে সে এখন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক । সবমিলিয়ে এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct