আপনজন ডেস্ক: কেরালার শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার পথে উত্তর কর্নাটকের ছয় জন হিন্দু তীর্থযাত্রীর সুরক্ষার জন্য কেরালার কোডাগু জেলার একটি মসজিদ তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। সমজিদ প্রাঙ্গণে তাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এদাথারা গ্রামে পৌঁছানোর পরে ওই ছয়জন তীর্থযাত্রী বন্যপ্রাণীর আক্রমণের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে জানতে পারেন। বিশেষত হাতির আক্রমণের আশঙ্কা করেন। সেই সময় বিরাজপেট তালুকের এদাথারা গ্রামের লিভাউল হুদা জুম্মা মসজিদটি দেখতে পেয়ে তারা ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেন যেন তাদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। মসজিদের সভাপতি উসমান এবং পদাধিকারী খতিব কামারুদ্দিন আনভারি ইতিবাচক সাড়া দেন তাদের আর্জিতে। তারপর মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এমনকী কমলেশ গৌরী, ভীমাপ্পা সানাদি, শিবানন্দ নাভেদি, গঙ্গাধারা বাদিদে এবং সিদ্দারোদ সানাদি নামে তীর্থযাত্রীদেরও মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রয়োজনে পূজা-অর্চনা করলেও তাদের আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।তাদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে উসমান বলেন, ‘আমরা এদাথারায় আমাদের মসজিদে ধর্ম নির্বিশেষে সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত। এই অঞ্চলটি রাতের বেলা হাতির আক্রমণপ্রবণ। বিশেষত রাতের বেলা সম্ভাব্য বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রাস্তা দিয়ে যে কেউ যাওয়ার সময় নিরাপত্তার জন্য মসজিদে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত। মসজিদ কর্তৃপক্ষের এই উদারতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তীর্থযাত্রীরা শবরীমালা রওনা হওয়ার আগে মসজিদ চত্বরে তাদের সকালের প্রার্থনা সম্পন্ন করেন। শবরীমালা যাত্রা হল আয়াপ্পানের পবিত্র আবাস সন্নিধানমের দিকে যাওয়ার একটি ট্রেক রুট। প্রায় ৪৬ কিলোমিটার বিস্তৃত, ট্রেকটি পার্বত্য অঞ্চল এবং ঘন বনের মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রয়েছে। সেই যাত্রায় কর্নাটকের ছয় তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার খাতিরে মসজিদে আশ্রয় দেওয়া সম্প্রীতি নিদর্শন সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct