আপনজন ডেস্ক: সরবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান ঘিরে ইডি অধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছে, বিরোধী দল বিজেপিও। কিন্তু নবান্নের দাবি ইডির এই অভিযানের কথা রাজ্য পুলিশ জানতই না। ইডি অফিসারদের উপর হামলার খবর রাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের কাছে আসে সকাল নটা নাগাদ। তার আগেই অবশ্য খবর পাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য পুলিশ ইডি অফিসারদের উদ্ধার অভিযানে নামে। পুলিশ যাওয়ার পর আর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকরা থানায় গিয়ে আশ্রয় নিলে তাদেরকে পুরো সুরক্ষা দেওয়া হয়। তবে, পুলিশের একাংশের দাবি, স্থানীয় থানার অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ইডি অভিযানে নামলে তাদের আধিকারিকদের এমনভাবে হেনস্থার শিকার হতে হত না। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, ইডি বা সিবিআই তল্লাশি চালানোর আগে রাজ্য সরকারকে জানানো বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে, সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিকদের আক্রান্তের ঘটনা সম্পর্কে শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে অপমান করার জন্য বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি অভিযান চালাচ্ছে এবং মানুষকে উস্কানি দিচ্ছে। তিনি এই ঘটনার দায় চাপালেন মূলত ইডি-সিবিআইয়ের দল ও বিজেপির উপর। কুনালের বক্তব্য, ইডির এই অভিযানের কথা রাজ্য পুলিশকে জানানো উচিত ছিল। কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা না জেনেই ইডি অফিসাররা তল্লাশিতে চলে গিয়েছেন। তার আরও অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তৈরি করেছে। রাজ্যর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এই জাতীয় কোনও আক্রমণকে তিনি সমর্থন করেন না। এ রাজ্যের প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে অবিলম্বে এনআইএ তদন্ত এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও একই সুরে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনামলে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct