সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি খরচে নির্মিত কর্মতীর্থ পরিনত হয়েছে দুস্কৃতিদের আড্ডায়, অব্যবহৃত অবস্থায় ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়ছে ভবন। রাজনৈতিক চাপানউতোর । এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্যেশ্যে সরকারী কোষাগারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরী হয়েছিল কর্মতীর্থ। বছর ছয়েক আগে সেই কর্মতীর্থ নির্মাণের কাজও শেষ হয়। কিন্তু তারপর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে বিশাল পরিকাঠামো। ভবন ক্রমশ ঢাকা পড়ছে ঝোপঝাড়ে। যে কর্মতীর্থ এলাকার বেশ কিছু বেকারের মুখে ভাত তুলে দিতে পারত সেই কর্মতীর্থ জুড়ে এখন শুধুই দুস্কৃতীদের দাপাদাপি।
রাজ্যের অন্যান্য ব্লকের মতো বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকেও ২০১৭ সালে কর্মতীর্থ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। ওই বছরই নির্মাণের পর ঘটা করে তার উদ্বোধনও হয়। কিন্তু সেখানেই থেমে যায় কর্মতীর্থের পথচলা। ১০ টি স্টল ও দুটি লম্বা ছাউনিতে কোনোদিন না বসেছে বাজার না চলেছে ব্যবসা। স্থানীয়রা বলছেন কর্মতীর্থের মূল ভবন বছরভর থাকে তালাবন্ধ। বাইরের দুটি ছাউনিতে স্থানীয়রা বর্ষার দিনে ধান শুকান। বাকি সময় সেগুলিতে বসে দুস্কৃতিদের আখড়া। নিশ্চিন্তে দেদার চলে মদ্যপান। এহেন কর্মতীর্থকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এলাকার বিরোধী দলের বিধায়কের দাবি, সরকারি কোষাগারের যে ৬০ লক্ষ টাকা এই কর্মতীর্থের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল তার একটা বড় অংশই তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে কাটমানি হিসাবে। স্বাভাবিক ভাবেই কর্মতীর্থ যেভাবে তৈরী করলে বেকারদের কর্মসংস্থান হত সেভাবে তৈরী হয়নি। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি কাটমানি নিলে কর্মতীর্থটি তৈরি হল কীভাবে? বিধায়ক গত দুবছরে এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করে এখন শুধু শাসক দলকে দুষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির দাবি ওই কর্মতীর্থের প্রতিটি স্টলই ভাড়া দেওয়া আছে। বেকার যুবকরা বিভিন্ন কারণে অন্যত্র ব্যবসা করলেও স্টলগুলিতে তাঁরা মালপত্র রাখেন। নিয়মিত খোলা হয় ওই কর্মতীর্থটি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct