সুভাষ চন্দ্র দাশ, সুন্দরবন, আপনজন: জীবন উপেক্ষা করে খোদ রয়্যাল বেঙ্গলের ডেরায় নেমে প্রায় ২ কিলোমিটার তাড়া করে একটি ট্রলার সহ ৬ জন বাংলাদেশী জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করলো সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ।ধৃতরা হল বাবলু,মোহাম্মদ রাজু সর্দার,ইসরাত খান,শেখ রাসেল,মোহাম্মদ আলি শিকারী,মোহাম্মদ ইলিয়াছ। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার অধিনস্ত কামরাঙ্গা,ঘোঁঘোনিয়া,বাস্তুলী মুজিবনগর ও শ্রীফলটোলা গ্রামে। জানা গিয়েছে বুধবার সুন্দরবনের ন্যাশানাল ইষ্ট পার্ক রেঞ্জের বাগমারা-৪ খাল সংলগ্ন সুন্দরবনে ন্যাশানাল ইষ্ট পার্ক রেঞ্জের রেঞ্জার স্বপন কুমার মাঝি ও ট্রেনি রেঞ্জার নবকুমার সাউ এর নেতৃত্বে অরণ্যসাথী সুকুমার মন্ডল,প্রশান্ত দাস,আশরাফ মোল্লা সহ তারক গায়েনদের ৬ সদস্যের একটি দল নদীবক্ষে নজরদারী করছিলেন।দূরে কিছু একটা দেখে সন্দেহ হয়। সেই সময় তাঁরা দূরবীন দিয়ে দেখতে পায় বাগমারা-৪ কম্পার্টমেন্টের বাগমারা খাল সংলগ্ন সুন্দরবন জঙ্গল এলাকায় দুজন ব্যক্তি ট্রলার থেকে নেমে সুন্দরবনের গহীণ জঙ্গলে যাচ্ছে।এমনটা দেখার পর আর এক মুহূর্ত দেরী করেননি সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এর ওই দল। তাঁরা স্পীডবোটে চেপে তড়িঘড়ি সেখানে হাজীর হন।নিজেদের জীবন উপেক্ষা করে তাঁরা সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গলের ডেরায় নেমে পড়েন।সেখানে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ তাড়া করেন জলদস্যুদের।দীর্ঘক্ষণ চলে জলদস্যুদের সাথে লুকোচুরির খেলা।অবশেষে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে যায় বাংলাদেশী জলদস্যুরা। তাদের কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় বেআইনি ভাবে ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করে প্রবেশ করায় তাদেরকে গ্রেফতার করেন সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ। পাশাপাশি জলদস্যুদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করেন। উল্লেখ্য বর্তমানে সুন্দরবনে প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনা। ভিড় পর্যটকদের। সুযোগ বুঝে জলদস্যুরা অসামাজিক কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিল।তবে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের তীক্ষ্ণ নজরদারীর ফলে দস্যুবৃত্তি করার আগেই ধরা পড়ে যায় বাংলাদেশী জলদস্যুদের পুরো গ্যাং। ধৃতদের বৃহষ্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের তরফে।উল্লেখ্য বিগত ৯ মাসের মধ্যে তিনবার সাফল্য পায় সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ। তবে বিগত পাঁচ বছরে এমন বড় সাফল্য আসেনি সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের। যা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।