আপনজন ডেস্ক: সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসের কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয়।অনেকের ধারণা ডায়াবেটিস শুধু মধ্যবয়সী ও পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদেরই হয়। ধারণাটি ভুল। যেকোনো বয়সের যেকোন ব্যক্তিই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম বয়সীদেরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যাচ্ছে। এখন অনেকে ১৮-২০ বছর বয়স থেকেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। কম বয়সেই ডায়বেটিস হওয়ার পিছনে রয়েছে জিনগত কারণ।বাবা-মা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে খুব কম বয়সেই সন্তান এই রোগের ফাঁদে পড়তে পারে। তাই অভিভাবকদের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের বয়স ২০-এর গণ্ডি পার হলেই বছরে অন্তত একবার সুগার টেস্ট করা প্রয়োজন। এছাড়া এর পিছনে রয়েছে দুশ্চিন্তা।দিন দিন সামাজিক প্রতিযোগীতা বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামে অন্যের জীবন উদযাপন, সাফল্য, আনন্দের ছবি-ভিডিও অল্প বয়সীদের মধ্যে নিজের জীবন, সাফল্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই দুশ্চিন্তা, অতিচিন্তার ফাঁদে পা দিলে শরীরে এমন কিছু হরমোনের প্রভাব বাড়ে, যা কিনা ইনসুলিন হরমোনের কাজে বাধা দেয়। আর এই হরমোন নিজের কাজটুকু ঠিকমতো না করতে পারলে যে অচিরেই ডায়াবিটিসের ফাঁদে পড়তে হবে।একই সঙ্গে হাই ক্যালোরি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। অনেকেই নিয়মিত বিরিয়ানি, বার্গার, পিৎজা, পেস্ট্রির মতো হাই ক্যালোরি ফুড খেয়েই তৃপ্তি পান। আর এই কারণেই তাদের রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে। তাই ডায়াবেটিসের ফাঁদ এড়াতে চাইলে এই ধরনের খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।তাই এসব জাঙ্কফুডের পরিবর্তে শাক, সবজি এবং ফল বেশি পরিমাণে খান। তাতেই ব্লাড সুগারকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে পারবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct