নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: কারও বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছে।কেউ আবার সদ্যোজাতের মা।কিন্তু রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে ওঁরাই নিজেদের অবিবাহিত বলে দাবি করে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন ব্লক অফিসে।ভুয়ো রূপশ্রী রুখতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনজন ভুয়ো আবেদনকারীকে হাতে নাতে ধরলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও তাপস পাল।জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ধরেই হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে রুপশ্রী নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ আসছিল।বুধবার সশরীরে বিডিও তাপস পাল ব্লকের সাদলিচক ও মালিওর-২ সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে অনুসন্ধান করতে যান।সেখানে রূপশ্রীর আবেদন মিলিয়ে দেখার সময় তিনজন ভুয়ো রুপশ্রী আবেদনকারীর হদিস পাওয়া যায়।বিডিও ওই তিনজন আবেদনকারীর ভুয়ো রূপশ্রী আবেদনপত্র বাতিল করতে বাধ্য হন।ওই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।বিডিও অফিস সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি বিয়ের ভুয়ো আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্য বিডিও অফিসে আবেদন করেন সাদলিচক ও মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন বিবাহিত মহিলা।আবেদনপত্রে জানান,বিয়ে হবে ২৭ ডিসেম্বর।তদন্ত করে বিডিও অফিসের আধিকারিকরা জানতে পারেন আবেদনকারীদের কারও বছর খানেক আগে আবার কারও কয়েক মাস আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে।বুধবার ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে রুপশ্রী অনুসন্ধানে যান বিডিও তাপস পাল।গ্রামে গিয়ে তিনি দেখেন,বিয়ের কোনও নামগন্ধ নেই।দোরগোড়ায় বিডিও কে দেখে ধরা পড়তেই সুর নরম হয়ে যায় সবার।এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও তাপস পাল বলেন,’গ্রামে গিয়ে অনুসন্ধান করে দেখলাম,এদের আবেদনপত্রে অনেক গলদ রয়েছে।এরা দালালদের মারফতে ভুল তথ্য দিয়ে রূপশ্রীর টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।হাতেনাতে ধরা পড়েছে তিনজন।এদের আবেদন পত্র বাতিল করা হয়েছে।এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct