সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল কলকাতার বউবাজার থানা, কোন অভিযোগে গ্রেফতার তা নিয়ে ধন্দে পরিবার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অনিরুদ্ধ সৎপতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল কলকাতার বৌবাজার থানার পুলিশ। রবিবার তাঁকে সিমলাপাল থানার আঁকড় গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে খবর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনিরুদ্ধ সৎপতি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই ওই দলে ছিলেন। এমনকি ২০১৩ থেকে ২০১৮ তিনি সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন। যদিও সম্প্রতি কয়েক বছর প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেননা বলেই খবর । একটি বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অনিরুদ্ধ সৎপতিকে কলকাতার বৌবাজার থানার পুলিশ ১২০ বি, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় আটক করে। এদিনই অভিযুক্তকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বৌবাজার থানার পুলিশ কর্মী আধিকারিকরা বলে জানা গেছে। তবে গ্রামবাসীদের তরফে দাবি, অনিরুদ্ধ সৎপতির পারিবারিক অবস্থা আগের তুলনায় এখন অনেকখানি খারাপ। তিনি কোন দূর্ণীতির সঙ্গে যুক্ত বলে মনে হয়না। অনিরুদ্ধ সৎপতির স্ত্রী সাগরিকা সৎপতির দাবি, তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধুমাত্র চাষাবাদ করেই তাঁদের সংসার চলে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে বিরোধী দলের নেতা আলোক মহান্তীর দাবি, নিয়োগ দূর্ণীতিতে শাসক দলের রাঘব বোয়ালদের ইডি-সিবিআই-র হাত থেকে বাঁচাতেই প্রাক্তন এই শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে পুলিশ আগেভাগে নিজেদের হেফাজতে নিল। নিয়োগ দূর্ণীতির অনেক তথ্য এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা জেনে থাকলেও থাকতে পারেন বলে তিনি মনে করছেন বলে জানান। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সম্পাদক রামানুজ সিংহমহাপাত্র বলেন, আমরা দু’জনে একসাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। অনিরুদ্ধ কোন রকমের দূর্ণীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করিনা। তবে নেশার ঘোরে রাতের দিকে অনেককে ফোনে গালিগালাজ করে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct