নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক, আপনজন: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং বিভাগের ছাত্রী ফারহানা বেগমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মালদার কালিয়াচক এলাকা। মালদহের কালিয়াচক জালালপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুর দুয়ান্নি গ্রামের এক মেধাবী ছাত্রী ফারহানা বেগম। তার বাবা পেশায় একজন গ্রামিণ চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল ফারহানা বেগম (২১)। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সিং পড়ার সুযোগ পেয়ে ক্যাম্পাসের নতুন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে হাসিখুশি পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। তারপর হাসতে খেলতেই পড়াশোনা দীর্ঘ ২ বছর কেটে যায় ফারহানা বেগমের।
বিগত কয়েকদিন আগেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে ফারহানা তারপর রীতিমতো চিকিৎসা করছিলেন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিন্তু হটাৎই সংকট জনক অর্থাৎ বেহুঁাঁশ যাওয়ার পরে তাকে ভর্তি করা হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ধীরে ধীরে শারীরিক অবনতির ঘটে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায় ওই ছাত্রীর৷ অনেক লড়াইয়ের পর অবশেষে গত শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তার৷ কলকাতায় পড়তে পাঠিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যায় ফারহানা। যুবতী মেয়ের মৃত্যুর শোকে ফেটে পড়ে তার পরিবারের বাবা-মা সহ শোকস্তব্ধ গোটা এলাকাজুড়ে। সোস্যালমিডিয়ায় খবর পাওয়ায় কান্নায় জর্জরিত অবস্থা কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ও সকল ছাত্রছাত্রীদের। এদিন শনিবার কলকাতা থেকে তার মৃত দেহ কালিয়াচকের বাড়ি এসে পৌঁছালে মানুষজন দেখার জন্যে ফেটে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে এবং তাকে শেষ বিদায় জানিয়ে অশ্রুসিক্ত জানাজায় কবরবাসী হয়ে যায় ফারহানা। অবশেষে তার রুহের মাগফেরাত ও সকল বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে দোয়া ও মঙ্গলকামনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct