আপনজন ডেস্ক: কর্নাটক সরকার শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা শীঘ্রই হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করার নির্দেশ আর কার্যকর নয়। মহিলারা “যা খুশি তা পরতে পারেন।”মহীশূরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিজাব নিষিদ্ধ করার ফরমান এখন আর নেই। মহিলারা হিজাব পরিধান করে যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন। আমি নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারে নির্দেশ দিয়েছি।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি কীভাবে পোশাক পরেন এবং কী খাচ্ছেন তা আপনার পছন্দ। আমি কেন আপনাদের বাধা দেব? সিদ্দারামাইয়া আরও বলেন, রাজ্যের মানুষ যা খুশি তাই পরতে ও খেতে পারেন। আপনি যা চান তাই পরুন। তুমি যা চাও তাই খাও। আমি ধুতি পরেছি, আপনি প্যান্ট এবং শার্ট পরেন। এতে ভুল টা কি? ভোটের জন্য রাজনীতি করা উচিত নয়।সিদ্দারামাইয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সব কা সাথ-সব কা বিকাশ’ স্লোগানকে ‘ভুয়ো’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।তিনি বলেন, বিজেপি মানুষকে বিভক্ত করার কাজ করছে এবং পোশাক-আশাক ও বর্ণের ভিত্তিতে সমাজকে বিভক্ত করার কাজ করছে। তাই আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বলেছি।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করে।কর্নাটক হাইকোর্টে এই সিদ্ধান্তকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল, যেখানে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে বলা হয়। আদালত তার নির্দেশে বলে, “হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়” এবং যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নির্ধারিত রয়েছে সেখানে ইউনিফর্ম ড্রেস কোড অনুসরণ করা উচিত।প্রাথমিকভাবে উদুপি প্রি-ইউনিভার্সিটি গার্লস কলেজের ছয় জন ছাত্রীর দ্বারা শুরু হওয়া হিজাব বিতর্কটি গত বছর কর্নাটকে ব্যাপক সংকটে পরিণত হয়েছিল।হিজাব ছাড়া ক্লাসে যেতে অস্বীকৃতি জানানো শিক্ষার্থীরা এখনও বলে আসছে যে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে। বিষয়টি নিয়ে বজরং দল ময়দানে নামায় সাম্প্রদায়িক মোড় নেয় এবং এর ফলে কর্নাটকের বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct