আপনজন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত নভেম্বরের শুরুতে এতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১। জানা গেছে, ওমিক্রন ধরনের নতুন উপ-ধরন জেএন.১-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকায় নতুন করে আতঙ্ক বেড়েছে। ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই জেএন.১ ধরনের প্রকোপ ধরা পড়েছে। বুধবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে বিভিন্নজনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের নতুন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোয়া রাজ্যে ১৯ এবং একজন করে মহারাষ্ট্র ও কেরালার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরালা রাজ্যে সংক্রমণ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১১৫। ১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনার এই নতুন ধরন সম্পর্কে সতর্ক থাকা ও ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা করেছে, করোনাভাইরাসের সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত নভেম্বরের শুরুতে এতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১।
গত মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে এরইমধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও ডব্লিউএইচও বলছে, জেএন.১ ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট জনস্বাস্থ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে না। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক মূল্যায়নে এর ঝুঁকির মাত্রা ‘কম’ পর্যায়ে আছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর (সিডিসি) ভাষ্য, জেএন.১ লক্ষণে করোনার অন্য ধরনগুলোর থেকে আলাদা কিছু আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। লক্ষণগুলোর ধরন ও সেগুলো কতটা গুরুতর তা সাধারণত কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। সিডিসির মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি লাগা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, জমাট বাঁধা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। জেএন.১ এর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য করোনার বিদ্যমান পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাই যথেষ্ট বলে ধারণা করছে সিডিসি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে জেএন.১ এ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৮ ডিসেম্বর সিডিসি জানায়, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রথম দেখা দেয় এবং এটি দেশটির সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ভ্যারিয়েন্ট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct