সারিউল ইসলাম, লালবাগ, আপনজন: নিকাশিনালার উপর অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ পৌরসভার গোলাপবাগ হসপিটাল রোডের দুই প্রান্তে। যার ফলে রাস্তার উপর থাকা ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়। হাল্কা বৃষ্টি হলেই জল জমে থাকত মুর্শিদাবাদ পৌরসভা সংলগ্ন ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। গোলাপবাগে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার জমির উপর গজিয়ে উঠেছিল সেইসব অবৈধ নির্মাণ। বিভিন্ন দোকানের কাজে ব্যবহার করা হতো সেই ঘরগুলি। পাব্লিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গা হলো বুধবার। ওই অবৈধ নির্মাণের কারণে একদিকে যেমন নিকাশীনালার জল জমে থাকতো, অন্যদিকে লালবাগ হসপিটাল রোডে যানজটের সৃষ্টি হতো প্রতিনিয়ত। অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার পর রাস্তার দুই প্রান্তের নিকাশীনালাকে রাস্তার উপর ড্রেনের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। অবৈধ নির্মাণ ভাঙার পর নিয়মমাফিক কাজ হলে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের জল যন্ত্রণা দূর হবে, পাশাপাশি যানজট মুক্ত হবে লালবাগ হসপিটাল রোড।
এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘নিকাশি নালার দখলদারি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এই উচ্ছেদ আগেই করা উচিৎ ছিল। ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরের ঐতিহ্য ফেরাতে পরবর্তীতে আরও কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’এই উচ্ছেদের পর থেকে প্রশ্ন উঠছে লালবাগ হসপিটাল রোডের দুইপাশে থাকা ফুটপাত ও সরকারি জায়গা দখল করে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ডাক্তারের চেম্বার গজিয়ে উঠেছে। অবৈধ নির্মাণের পরেও তারা লাইসেন্স পান কি ভাবে। প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’অন্যদিকে বুধবারের উচ্ছেদের পর কর্মহীন হয়ে পড়লেন সেলিম শেখ, হাসিরানী সাহা, মজিদ শেখের মতো বেশ কিছু মানুষজন। তারা পুরসভার কাছে পুনর্বাসনের আবেদন রেখেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct