নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের খিচুড়িতে মরে পড়ে রয়েছে মাছি, মেশানো হয় পান্তা ভাত,যা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে খিচুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসালপুর গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে ওই সেন্টারের চার্জে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শকুন্তলা দাসের বিরুদ্ধে।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন,খোলা আকাশের নিচেই চলছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার।এই সেন্টারের কর্মী শোভা খাতুন অসুস্থতা জনিত কারণে তিন মাস ধরে ছুটিতে রয়েছেন।অন্য এক কেন্দ্রের কর্মী শকুন্তলা দাসের উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকলেও তিনি আসেন না নিয়মিত।তার ছেলে এবং ছেলের বৌমা এসে চালান সেন্টার।ফলে প্রতিদিন খোলে না সেন্টার।সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটি রাখা হয়।এমনকি সেন্টারে নেই রাঁধুনি।মাসে ৩০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে এক রাঁধুনি কে রাখা হয়েছে। তার বাড়িতেই হয় রান্না।খাবারেও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বেনিয়ম।যে খাবার দেওয়া হয় সেটা অত্যন্ত নিম্নমানের। সরকারি নিয়মানুযায়ী তিন দিন ভাত ও তিনদিন খিচুড়ির সঙ্গে শিশুদের তিনদিন গোটা ডিম ও তিন অর্ধেক ডিম,প্রসূতি মা ও অন্তঃসত্ত্বাদের সপ্তাহে ছ’দিন গোটা ডিম দেওয়া কথা থাকলেও তা দেন না কর্মী।অভিভাবকরা অভিযোগ জানাতে গেলে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার।আয়েশা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা জানান,সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিশুদের নিয়মিত খাবার দেওয়া হয় না। যা দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের।খিচুড়ি ছাড়া কোনোদিন ভাত দেওয়া হয় না।বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটি রাখেন। বলতে গেলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গুল মহম্মদ জানান,এই সেন্টার নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে,তা সত্বেও তাঁরা শোধরাইনি।সোমবার খিচুড়িতে পাওয়া গেছে মরা মাছি।তাই অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সিডিপিও আব্দুল সাত্তার জানান,অভিভাবকেরা লিখিত অভিযোগ জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct