নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবস। এউপলক্ষে সারা বাংলা সংখ্যালঘু কাউন্সিল কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে একটি সংখ্যালঘু যুব কনভেনশনের আয়োজন করে। কনভেনশনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, বঙ্গীয় খ্রিস্টীয় পরিষেবার কার্যনির্বাহী সভাপতি হেরোদ মল্লিক, সংবিধান বাঁচাও মঞ্চের সভাপতি সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, অধ্যক্ষ ড. আফসার আলী, অধ্যাপক সুরঞ্জন মিদ্দে, বিশিষ্ট লেখক ও ইসলামি চিন্তাবিদ মুহাম্মদ নুরুদ্দিন শাহ, সালাউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, হাফেজ নাজমুল আরেফিন, ডা. সজল বিশ্বাস, শিক্ষক আব্দুর রউফ প্রমূখ।
রাগাম্বিক বক্তব্য মোঃ কামরুজ্জামান বলেন বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার পাশাপাশি মৌলিক অধিকারও ক্ষুন্ন হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার পরে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি মুসলমান বাস করে ভারতে। অথচ এমন একটি দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজনও মুসলিম প্রতিনিধি রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকে বর্তমানে কোন মন্ত্রী নেই। সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষায় সুযোগ করে দিতে বিগত দিনের স্কলারশিপ বা ছাত্রভিত্তি গুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অব্যস্থার বিরুদ্ধে কামরুজ্জামান তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্রিশ্চিয়ান নেতা হেরোধ মল্লিক বলেন সংখ্যালঘুদের নির্যাতন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ক্রিসমাস দিবসের আগের দিন প্রাথমিক বোর্ডের টেট পরীক্ষা হওয়ায় অধ্যাপক সুরঞ্জন মিদ্দে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার দাবী জানান দলিত নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানের একশ শতাংশ কার্যকরী হলেই সামাজিক বৈষম্য দূর হবে বলে তিনি মনে করেন। সংবিধানের ৩০ ধারা কার্যকরী করে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার ও সরকারি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানান অধ্যাপক আফসার আলী। মুহাম্মদ নুরুদ্দিন সমস্ত মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct