আপনজন ডেস্ক: সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে স্লোগান দেওয়ার পর রাজ্যসভার ৪৫ জন বিরোধী সদস্যকে অশালীন আচরণ এবং সভাপতির নির্দেশ উপেক্ষা করার জন্য সোমবার সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশ, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, ডিএমকে নেতা টি আর বালু এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়-সহ ৩৩ জন বিরোধী সদস্যকে লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয়। রাজ্যসভার ৪৫ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হলেও ১১ জনকে বিশেষাধিকার কমিটির তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সংসদ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য ৩৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার জন্য এবং অন্য ১১ জন বিরোধী সাংসদের আচরণের মামলা বিশেষাধিকার কমিটিতে পাঠানোর জন্য সংসদ নেতা পীযূষ গোয়েলের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে সদস্যদের সাসপেন্ড করা হয়।
কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত ১১ জন সংসদ সদস্য সংসদের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় প্রথমে সাসপেন্ড হওয়া সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং তারপরে প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে উত্থাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।লোকসভায় নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করার সময় বিরোধী সদস্যরা সংসদে হইচই শুরু করেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন এবং সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে থাকেন।শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ২২ ডিসেম্বর। অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য সাসপেন্ড হওয়া ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জনই কংগ্রেসের।সাসপেন্ড হওয়া সদস্যরা হলেন- প্রমোদ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশ, অমি ইয়াজনিক, নারানভাই জে রাঠওয়া, সৈয়দ নাসির হুসেন, শ্রীমতি ফুলো দেবী নেতাম, শক্তিসিং গোহিল, কেসি বেণুগোপাল, রজনী অশোকরাও পাতিল, রঞ্জিত রঞ্জন, ইমরান প্রতাপগড়ি, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (সকলেই কংগ্রেস) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাত জন সদস্য হলেন সুখেন্দু শেখর রায়, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তনু সেন, মৌসম নূর। প্রকাশ চিক বড়াইক ও সামিরুল ইসলাম।
শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড হওয়া অন্যরা হলেন এম শানমুগাম, এন আর ইলাঙ্গো, কানিমোঝি এনভিএন সোমু, আর গিরিরাজন, মনোজ কুমার ঝা, ফাইয়াজ আহমেদ ভি শিবদাসন, রামনাথ ঠাকুর, অনিল প্রসাদ হেগড়ে, বন্দনা চৌহান, রাম গোপাল যাদব, জাভেদ আলি খান, মহুয়া মাজি, জোসে কে মনি এবং অজিত কুমার ভূঁইয়া।যে ১১ জন বিরোধী সদস্যের নাম বিশেষাধিকার কমিটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন জেবি মাথের হিশাম, এল হনুমানথাইয়া, নীরজ ডাঙ্গি, রাজমণি প্যাটেল, কুমার কেতকর, জি সি চন্দ্রশেখর, বিনয় বিশ্বম, সন্দোষ কুমার পি, মহম্মদ আবদুল্লাহ, জন ব্রিটাস এবং এ এ রহিম।লোকসভার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “আমি সহ সমস্ত নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা কয়েকদিন ধরে দাবি করে আসছি যে আমাদের সাংসদদের পুনর্বহাল করা হোক, যাদের আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এসে (সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে) বিবৃতি দিন। তিনি আরও বলেন, ‘আজ সরকার স্বৈরাচারের উচ্চতায় পৌঁছেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct