নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর, আপনজন: শিকেয় উঠেছে আবাস প্লাস প্রকল্প। দুর্নীতি ইস্যুতে কেন্দ্রের অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মহীন হাজার হাজার শ্রমিক। চরম দুশ্চিন্তায় ইটভাটার মালিকেরাও। তাই চলতি মরশুমে জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধের মুখে বহু ইট ভাটা। কাজ হারিয়েছি ইতিমধ্যে হাজার হাজার ইট ভাটার শ্রমিক।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বর্তমানে ১০২ টি ইট ভাটা চলতি বছরে বন্ধ বলে দাবি ইটভাটা মালিক সংগঠনের। জানা যায়, আবাস প্লাস যোজনার লক্ষ্যে কোটি কোটি ইট বানিয়েছিলেন ভাটা মালিকেরা। বছর ঘুরলেও সেই ইট মজুদ রয়েছে এখনো। এর ফলে নতুন ইট তৈরির ঝুঁকি নিচ্ছে না ভাটার মালিকেরা। তার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। ইটভাটা মালিক সংগঠন সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ ভাটার ইট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। অথচ নভেম্বর গড়িয়ে ডিসেম্বর মাস মাঝামাঝি এসে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ,ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরেই প্রায় ৭০০ র বেশি রয়েছে ইটভাটা। চলতি বছরের গোড়ায় আভাস প্লাস যোজনায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে দুই মেদিনীপুর জেলায় প্রায় দুই লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য প্রায় ৬২ কোটি ইট তৈরী করেছিল ভাটা মালিকেরা। এমনই দাবি ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর আবাস যোজনার বাড়ি না হওয়ায় এবছর শেষ হতে চললেও এখনো মজুদ রয়েছে সেই ইট। আর এই ইট মজুদ থাকার কারণে ভাটা মালিকদের টাকা ও আটকে রয়েছে। তাই ভাটাতে এ বছর জ্বলবে না আগুন। কর্মহীন হাজার হাজার শ্রমিক। জানা গেছে ,এক একটি ভাটাতে কম করেও দুই থেকে তিন শত শ্রমিক বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকত। কর্মহীন হলো তারা। সকলেই এখন তাকিয়ে রয়েছে কবে ইট ভাটা চালু হয়।আর এই ইটভাটা বন্ধ নিয়েই ইতিমধ্যে বিজেপি তৃণমূলের নেতারা একে অপরের উপরে দোষারোপ করতে শুরু করেছে। চলছে দোষারোপের পালা। কিন্তু কবে ফের আগুনের আঁচ পড়বে ইট ভাটায় সে প্রশ্নের উত্তর অধরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct