সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: ছাত্রছাত্রী নেই বললেই চলে,অথচ রীতিমত চলছে সিনিয়র মাদ্রাসা। শিক্ষক আছেন দশজন অথচ ছাত্রছাত্রী প্রায় শূন্য। শিক্ষক, শিক্ষিকারা প্রতিদিন মাদ্রাসায় এসে সকলে মিলে শীতের রোদ পোহাচ্ছেন। গল্প গুজব করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। মাস গেলে সরকারি বেতনের টাকাও গুনে নিচ্ছেন তারা।এমন ভাবেই চলছে মু্র্শিদাবাদের ডোমকলের সারাংপুর হিতানপুর আলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। স্কুলে গিয়ে দেখা গেল,পর পর ক্লাসরুম ফাঁকা,চেয়ার,টেবিল বোর্ড রয়েছে, কিন্তু ছাত্রছাত্রীর দেখা নেই। তবে একটি শ্রেণীকক্ষে টেনেটুনে পাঁচজন খুদেকে পড়াশোনা করতে দেখা গেছে। তাদেরকেও নাকি এদিক ওদিক থেকে নিয়ে এসে পড়াশোনা করানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। ছাত্রছাত্রী একদম হয় না।
রাজ্য সরকারের ঘোষণা মোতাবেক ২০১৩ সালে অনুমোদন পায় ডোমকলের সারাংপুর হিতানপুর আলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। এখানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার দাবি,ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষার জন্য সবাই স্কুলে আসে না। ২২ ডিসেম্বর রেজাল্টের পর সবাই স্কুলে আসবে বলে তিনি দাবি করেন। খাতায় কলমে ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রী আছে বলে স্কুলের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু বাস্তবে স্কুলে গিয়ে ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রীর দেখা মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,এই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ এবং স্কুলের রাস্তা তৈরি নিয়ে করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার দেখা পাওয়া যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct