সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে ধূপগুড়িতে বালি পাচার অব্যাহত। তাপমাত্রা সেখানে ৯-১০ ডিগ্রি। শীতে জুবুথুবু শহর। কুয়াশার চাদরের তলায় শীতঘুমে লোকালয়। এই কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেই আসল কাজ সারছেন, যাঁদের সারার কথা। নদীর ধারে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। ভোরের আলো ফোটার আগেই টার্গেট ফিল আপ। দেদার চলছে নদীর বুক শূন্য করে বালি লুঠ। একসঙ্গে কাজ করছেন জনা দশেক। সকালে ৮টার মধ্যে ‘অপারেশন সাকসেসফুল’। কুয়াশার আড়ালে রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার। অভিযোগ উঠছে, এই শীতে আরও বেশি করে সক্রিয় হয়ে উঠছেন পাচারকারীরা। পুলিশ নাকা চেকিংয়ের সামনে দিয়েই বুক চিতিয়ে চলছে এই কারবার। অভিযোগ এলাকাবাসীদেরই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়েও পাচারকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, তার প্রমাণ মিলল আমাদের ক্যামেরায়।শুক্রবার ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত স্টেশন শালবাড়ি এলাকার ডুডুয়া নদীর ধারে অবাধে চলছে বালি পাচার। স্টেশন শালবাড়ির এলাকায় পুলিশের নাকা চেকিং রয়েছে। কিন্তু ক্যামেরায় ধরা পড়ল ঠিক উল্টো দিক থেকেই একের পর এক ট্রাক্টরে বালির বস্তা উঠছে। নির্দেশ কি শুধুমাত্র কাগজে-কলমে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ফণীন্দ্র সরকার বলেন, স্টেশন শালবাড়ির ডুডুয়া নদী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বালি তুলে তা পাচার করা হচ্ছে। এলাকাবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। সামনেই নাকা চেকিং রয়েছে তার পরেও কি করে বালি পাচার হচ্ছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আমরা চাই বেআইনিভাবে বালি পাচার বন্ধ হোক, সরকারি রাজস্ব দিয়েই বালি তোলার ব্যাবস্থা করা হোক। তৃণমূল জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরুপ দে বলেন , “আমরা থানা ও এসপির সঙ্গে কথা বলব। ওখানকার প্রধান তো বিজেপির। বালি পাচারে আসলে তো বিজেপির লোকই জড়িত। আমরা বিএলআরও-কেও জানাচ্ছি।”বিরোধী দলের নেতা চন্দন দত্ত বক্তব্য, “বালি পাচারের সঙ্গে তৃণমূলই জড়িত। পুলিশ তো চুপচাপ বসে রয়েছে। বিজেপির লোক করলে কী পুলিশ চুপ করে বসে থাকত। আমাদের লোককে তো মিথ্যা মামলায় এমনিতেই ধরে।” স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct