আপনজন ডেস্ক: গাজার মানুষ একটি রুটির জন্য ভিক্ষা করছে। এক কৌটা মটরশুঁটির জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি অর্থ প্রদান করছে। এমনকি পরিবারের ক্ষুধা মেটানোর জন্য গাধাও জবাই করছে। খাদ্য সহায়তার ট্রাক ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশির ভাগ অংশে পৌঁছতে পারেনি।ফলে সেখানে শুরু হয়েছে চরম দুর্দশা। হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসরায়েল গাজার প্রতিটি অংশে আঘাত হানছে। ফলে খাদ্য সহায়তার ট্রাক ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের উত্তরের জাবালিয়ার একজন সাংবাদিক ইউসুফ ফারেস বলেন, ‘রুটি বানানোর জন্য ময়দা পাওয়া এখন কঠিন।যুদ্ধের আগের তুলনায় দাম এখন ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।’তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমি একটি রুটির খোঁজে বের হয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। বাজারে অবশিষ্টর মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য মিছরি এবং ক্যানে পাওয়া কিছু শিম। তবে দাম ৫০ গুণ বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি এমন একজনকেও দেখেছি যে তাঁর পরিবারের কয়েক শ সদস্যকে খাওয়ানোর জন্য একটি গাধা জবাই করেছে।’জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় ‘ওসিএইচএ’ বৃহস্পতিবার বলেছে, মিসরের সীমান্তের কাছে রাফাহ এলাকায় খুব সীমিত সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ আরো জানিয়েছে, ‘গাজা স্ট্রিপের বাকি অংশে হামলার তীব্রতা এবং প্রধান সড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে সাহায্য বিতরণ অনেকাংশে বন্ধই হয়ে গেছে।’ গাজা শহর থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া আবদেল আজিজ মোহাম্মদ (৫৫) বলেন, ‘সাহায্য? কী সাহায্য? আমরা এটা সম্পর্কে শুনেছি মাত্র, কোথাও দেখতে পাইনি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct