আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এর প্রতিবাদে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বাদ যাচ্ছে না ফুটবল তারকা এবং ভক্তরাও। এবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে শত শত সমর্থকরা কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছেন। ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে অর্থ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে ২০২২ সালে কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের একটি স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে জড়ো হন শত শত ফুটবল ভক্ত ও অনুরাগীরা। তারা কাতার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জন্য অর্থ যোগানের জন্য নেমেছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চালানো বর্বর হামলায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭ হাজার শিশু। বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়াতে একদল শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন।
এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী করিম আব্বাস জানান, ম্যাচটি ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য খেলা হয়েছে।আব্বাস বলেন, ইসরায়েল নিরীহি ফিলিস্তিনিদের ওপর যে হামলা চালাচ্ছে তার ভিডিওগুলো দেখা একজন ফিলিস্তিনি হয়ে অসম্ভব। যদিও আমি ফিলিস্তিনে থাকছি না, কিন্তু আমি তাদের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারি। কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটিতে কাতার ভিত্তিক দুটি স্কুলের খেলোয়াড় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলাররা অংশ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক স্প্যানিশ খেলোয়াড় জাভি মার্টিনেজ, মরক্কোর আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় সোফিয়ান বাফল এবং কাতারের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। দুটি দলে বিভক্ত হয়ে খেলোয়াড়রা কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করেন।৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার ওই স্টেডিয়ামে গাজাবাসীদের পক্ষ নিয়ে আগত দর্শকরা তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ান।ম্যাচ শুরুর আগে কাতার বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান আবদেল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা এখানে এসেছি কিছু বলার জন্য, গাজাবাসীকে বলতে চাই আমরা তাদের ভুলি নাই।স্টেডিয়ামে আগত দর্শক ও খেলোয়াড়রা বলেন, পৃথিবীতে গণহত্যার কোনো স্থান নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct