আপনজন ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সংসদে নিরাপত্তার অভাবকে একটি গুরুতর সমস্যা বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এই ঘটনাটি যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব এবং মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। রাহুল বলেন, সংসদে নিরাপত্তার অভাব বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে। চাকরি কোথায়? তরুণরা হতাশ। এ বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে এবং তরুণদের চাকরি দিতে হবে। নিশ্চয়ই নিরাপত্তার অভাব আছে, কিন্তু এর পেছনের কারণ হল দেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে চাপের সমস্যা হল বেকারত্ব। আর সংসদের নিরাপত্তায় যে ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি।
রাহুল অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির কারণে যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না। সংসদের নিরাপত্তার অভাব একটি গুরুতর বিষয়, সরকারকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তার আরও অভিযোগ, সংসদে বারবার দাবি উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখানে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে সংসদের হামলা কেন এবং কীভাবে এমন হল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে আসতে চান না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টিভি অনুষ্ঠানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার সময় থাকলেও সংসদে আসতে তার পাঁচ মিনিটও নেই। অথচ, সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘন একটি গুরুতর বিষয় এবং সরকারের এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।উল্লেখ্য, গত বুধবার, সংসদে ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে, একটি বড় নিরাপত্তার গল সামনে আসে নতুন সংসদ ভবনে। সেখানে যখন লোকসভার কার্যক্রম চলাকালীন শ্রোতা গ্যালারি থেকে দু’জন লোক হাউসে প্রবেশ করেছিল এবং ক্যান ছুড়ে হলুদ রঙের ধোঁয়া নির্গত করে ও স্লোগান দিতে থাকে। এরপরই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে আটকাতে দুজন সাংসদকে বিশেষ ভূমিকা নিতে দেখা যায়। সেই দুই সাংসদ হলেন নাম সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। অপরদিকে সংসদ ভবনের বাইরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন হরিয়ানার জৈন্দ জেলার ঘাসু খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা নীলমএবং মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা অমুল শিন্ডে। পরে অবশ্য আরও ছজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct