আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের পাঁচটি সংস্থার প্রকাশিত খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বিষয়ক ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী ও কিশোর-কিশোরী রক্তাল্পতায় ভুগছে, যা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৭৪.১ শতাংশ ভারতীয় বা ১.০৪৩ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য পেতে অক্ষম। প্রতিবেদনে আরও অনুমান করা হয়েছে যে ২০২০-২০২২ সালে ভারতের অপুষ্টি জনসংখ্যার অনুপাত ১৬.৬ শতাংশ হবে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী মোজাম্বিক, আফগানিস্তান, হাইতি, লাইবেরিয়া, চাদ, নাইজার, লেসোথো, ইয়েমেন, মাদাগাস্কার ও সোমালিয়া হাঙ্গার ইনডেক্সের সূচকে ভারতের চেয়ে নিচে রয়েছে। এই দেশগুলি বাদে অন্য যে কোনও মূল্যায়ন করা দেশের ফলাফল ভারতের চেয়ে তুলনায় ভালো ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে সারা বিশ্বে শিশুদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন’ হার সবচেয়ে বেশি, ১৮.৭%, যা তীব্র অপুষ্টিকে প্রতিফলিত করে। প্রকৃতপক্ষে, কম ওজন’ শিশুদের অপুষ্টির সবচেয়ে খারাপ রূপ এবং সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়। কোনো দেশে যদি ১৫ শতাংশের বেশি শিশু তুলনায় ওজন কম হয়, তবে তা ‘অত্যন্ত উচ্চ’ মাত্রার উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে শৈশবকালীন স্টান্টিং (বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা) এর ক্ষেত্রে, ভারত আবার ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির বিভাগে পড়ে। সমীক্ষা অনুযায়ী ৩৫% এরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, যদিও অন্যান্য বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ এবং কিছু পূর্ব-এশীয় দেশ এই প্যারামিটারে ভারতের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে। সামগ্রিক জনসংখ্যার প্রায় ১৬.৬% অপুষ্টিতে ভুগছে, ভারতের অপুষ্টির মাত্রা ‘মাঝারি’ ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং, ৫ বছরের কম বয়সী মৃত্যুর ক্ষেত্রে, ভারতকে ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩.১% শিশু পাঁচ বছর বয়সের আগেই মারা যায়। রাষ্ট্রসংঘের এই সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ভারতে ১৫-২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রকোপ অনেক বেশি যেটি দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct