আপনজন ডেস্ক: আট বছর বিরতির পর উমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ইরানিরা। ইরানের হজ ও পিলগ্রিমেজ অর্গানাইজেশনের প্রধান আব্বাস হোসেইনি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হবে।
মঙ্গলবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে হোসেইনি বলেন, প্রথম দলে ৫৫০ উমরাহ যাত্রী যাবেন। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) তাঁকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘তীর্থযাত্রীরা ১৯ ডিসেম্বর মক্কায় আল্লাহর ঘরে যাবেন।
সৌদি আরবে তারা ১০ দিন থাকবেন। এর মধ্যে পাঁচ দিন মক্কায় এবং পাঁচ দিন মদিনায় থাকবেন।’
হোসেইনি বলেন, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সমন্বয় এবং এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরানি উমরাহ ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দল তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
পরবর্তীতে মাশহাদ, তাবরিজ, ইসফাহান, ইয়াজদ, কেরমান, আহভাজ, শিরাজ, সারি ও জাহেদানের মতো অন্যান্য শহরের বিমানবন্দর থেকেও উমরাহ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।’
হোসেইনি বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে ৫৫০টি দলে মোট ৭০ হাজার ইরানি উমরাহ পালন করবেন। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে উমরাহ যাত্রীদের পাঠানোর কার্যক্রম চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হোসেইনি বলেন, যারা ২০০৮ সালে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করেছিলেন, তারা উমরাহ করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে পারেন।
৫.৭ মিলিয়ন ইরানি উমরাহে অংশ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় করছেন বলে উল্লেখ করেন হোসেইনি। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে প্রতি বছর ৮ লাখ থেকে এক মিলিয়ন ইরানিকে উমরাহের জন্য সৌদি আরবে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রিয়াদে একজন শিয়া মুসলিম ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইস্যুতে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ইরান এবং সৌদি আরব। তারপর থেকেই ইরানী তীর্থযাত্রীরা শুধুমাত্র হজ পালন করতে পারত। ইরান ও সৌদি আরব ২০২৩ সালের মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতা চুক্তির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct