নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বাল্য বিবাহ ও নারী পাচার রোধ এবং সাইবার প্রতারনা থেকে বাঁচতে কন্যাশ্রী মেয়েদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালানো হয় হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা যায়।এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পরিদর্শন করানো হয় ওই কন্যাশ্রী মেয়েদের। প্রশাসনের আধিকারিকেরা বাল্য বিবাহ আটকানো,নারী পাচার রোধ করা সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সম্বন্ধে সচেতন করেন।আর এই কন্যাশ্রী মেয়েরা নিজ নিজ এলাকায় এই সব বিষয়গুলি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করবেন বলে জানান।সামাজিক মাধ্যমে অজানা ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা,ওটিপি শেয়ার না করা ও নিজের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেওয়ারও পরামর্শ দেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাস্তায় চলতে গিয়ে কোন সমস্যাই পড়লে বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে জানানোর পাশাপাশি থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন তাঁরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন কিরণবালা বালিকা বিদ্যাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিতা ব্যানার্জি,ব্লক ইএমওই সুদীপ্ত মিত্র, ব্লকের কন্যাশ্রী দপ্তরের কর্মী পিন্টু দাস ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এস আই লক্ষন চৌধুরী ও সঞ্জয় সরকার সহ অন্যান্যরা।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রতিটি স্কুলেই কন্যাশ্রী ক্লাব করা হয়েছে।এর আগেও কন্যাশ্রীদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলার কাজ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি যেমন প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে।তেমনি কন্যাশ্রীরাও সচেতন হলে প্রতিটি বাড়ির সদস্যরাও এই বিষয়গুলি জানতে পারবেন।তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা, ভাই-বোনদের এই বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন করবে।প্রতিবেশীদেরও সচেতন করবে।এভাবে গ্রাসরুট পর্যন্ত বার্তা পৌঁছবে।বাল্যবিবাহ নজরে পড়লেই চাইল্ড লাইন কিংবা প্রশাসনকে জানাবে এই কন্যাশ্রীরাই।এতে প্রশাসনের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।মেয়েরা শিক্ষিত হলে গোটা সমাজ শিক্ষিত হবে।তাই মেয়েদেরকে পড়াশোনা করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct