আপনজন ডেস্ক: আক্ষেপের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ। ভারত এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে। হাতে যে খুব বেশি সময়ও আছে তা নয়, আগামী বছরের জুনেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে চমক দিতে পারে ভারত। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট কোহলি। আবার বিশ্বকাপ দলে ঢোকার দৌড়ে খুব ভালোভাবে আছেন তরুণ রিংকু সিং ও জিতেশ শর্মা। লোয়ার অর্ডারে আক্রমণাত্মক ফিনিশার খুঁজছে ভারত, সেই চাহিদা মেটাতেই ভাবা হচ্ছে রিংকু ও জিতেশের কথা।উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জিতেশের হয়ে সংখ্যাও কথা বলছে। ২০২১ সাল থেকে গত আইপিএলের মাঝপথ পর্যন্ত ৩০ বলের কম খেলা ইনিংসগুলোয় তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ। মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান তাঁর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩০ বা এর চেয়ে বেশি রান করেছেন। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে জিতেশেরই স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি—১৯৪। নম্বর ৪ বা এর পরে নেমে জিতেশ রান করেছেন ৩৭ গড় ও ১৭৭ স্ট্রাইক রেটে।অন্যদিকে রিংকু আইপিএলে ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানোর পর থেকেই আলোচনায় আছেন। তবে শুধু ওই এক ম্যাচ নয়, আইপিএলে রিংকু নিয়মিত পারফর্ম করেছেন। ২০১৮ সালে আইপিএল অভিষেক হওয়া রিংকুর গড় ৩৬ ও স্ট্রাইক রেটে ১৪২। আর অন্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে গড় ৩২ আর স্ট্রাইক রেট ১৪৫।
বাঁহাতি হওয়ায় স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে জিতেশের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারেন রিংকু। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রিংকুর গড় ৬০ আর স্ট্রাইক রেটে ১৮৭.৫০। অন্যদিকে জাতীয় সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে জিতেশকে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। অনেকবার স্কোয়াডে থাকলেও জিতেশ মূল দলে প্রথমবার খেলেছেন সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে। সেই ম্যাচে ১৯ বলে ৩৫ রান করার পর সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান করেছিলেন ১৬ বলে ২৪ রান। এই সিরিজের আগে ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন জিতেশ।ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে বিশ্বকাপ দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবার বাড়তি সতর্ক থাকতে পারে। এর আগে আইপিএল পারফরম্যান্স দেখে দীনেশ কার্তিক, দীপক হুদা ও বরুণ চক্রবর্তীকে বিশ্বকাপ দলে নিয়ে সফলতা পায়নি ভারত। তাই এই দিকটিকেও মাথায় রাখতে হচ্ছে ভারতকে।যে কারণে ১০ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এই দুই ক্রিকেটারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনরিখ নর্কিয়া ও কাগিসো রাবাদা না থাকলেও বাউন্সি উইকেটে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভালোই পরীক্ষা নেবেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। সেখানে ভালো করলেই হয়তো বিবেচনায় আসবেন এই দুই ব্যাটসম্যান।উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে লড়াই হলে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া কঠিন হতে পারে জিতেশের। যেই সুযোগ পান তাঁর ব্যাট করতে হতে পারে ৫ নম্বরে। ৬ নম্বরে হার্দিক পান্ডিয়া। অর্থাৎ রিংকু দলে সুযোগ পেলে তাঁকে খেলতে হবে ৭ নম্বরে। আর রিংকুকে সুযোগ দিলে ভারতকে খেলতে হবে চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে। যেটা ভারত চাইবে কি না, সেটাও প্রশ্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct