সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে পাহাড়বাসীর মন জয় করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে খেলেন নির্দ্বিধায়। নিজের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে কার্শিয়াংয়ে। সে উপলক্ষে এবারের পাহাড় সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার অনেকটাই সময় কাটালেন কার্শিয়াংেয়র পাঙ্খাবাড়ি রোডের মকাইবাড়ি চা-বাগানে। চা বাগানের শ্রমিকদের নেপালি সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পোশাক পরলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরনে ছিল লাল-সাদা চাউবন্দি চোলো। একেবারে চা শ্রমিকদের ঢঙে তাদের সঙ্গে চা বাগানে গিয়ে মাথায় ঝুড়ি বেঁেধ তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চা তুললেন বাগান থেকে। বলতে গেলে এদিন পুরো দস্তুর চা বাগানের শ্রমিকদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগানে গিয়ে চা তোলার সময় তাকে অনেকটাই সাবলীল দেখাচ্ছিল। চা বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি একেবারে একাত্মতায় মগ্ন হয়ে পড়েন। তাই চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনলেন। শ্রমিকদের কাছ থেকে খোঁজ নিলেন তাদের পরিবারের কথা। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। সেই সঙ্গে তাদের কাছে জানতে চান নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। তাদের কি অসুবিধা সে কথাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি পাহাড়ে গানে তাল মেলান শ্রমিকদের সঙ্গে। তাদের নাচের তাল মিলিয়ে নাচতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
চা বাগানে শামিল হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে চা পাতা তোলা শিখলাম। এটা একটা জীবনের বড় ব্যাপার। তিনি চা শ্রমিকদের কুশলে থাকার কামনা করেন। সামনে লোকসভার ভোট। তার আগে পাহাড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চা বাগানের বাসিন্দাদের জিজ্ঞেস করেন তারা জমির পাট্টা পেয়েছেন কিনা। এর পর িতনি তাদের কাছে অঙ্গীকার করেন জমির পাট্টা দেওয়ায়। উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার কার্শিয়াংয়ে একটি প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান। এরপর ১১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বানারহাটে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে চা বাগানের বাসিন্দাদের জমির অধিকারের নথি বিতরণ করবেন। ১২ ডিসেম্বর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফিরবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct