X
৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, বৃহস্পতিবার১৪:৩০
সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: দেওয়ালে বড় বড় ফাটল তৈরী হয়েছে , বেহাল দশা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উদাসীন প্রশাসন , সাপের উপযুক্ত বাসস্থানে পরিণত হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, শিখেয় উঠেছে পড়াশোনা ।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে একেবারে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । রীতিমতো সাপের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি । এ ছবি বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের উত্তর নিত্যানন্দপুর সংসদের নিত্যানন্দপুর ১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দেয়ালে তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল মাততার উপর অ্যাডবেস্টরের চালা ভেঙে গিয়েছে । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভেতরে যা পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা এক কথায় সাপের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ । এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অবস্থায় পরিণত হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি । আগে এই কেন্দ্রে একটি রুমের মধ্যেই কোন রকমে রান্নাবান্না ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে পড়াশোনা হতো কিন্তু এখন আর তা হয় না । তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র সেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের মিড ডে মিলের সেটে রান্না করতে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাকে । এই মুহূর্তে অঙ্গনারী কেন্দ্রে পড়াশোনা শিখেয় উঠেছে ।
মঞ্জুরানি সরকার নামে এক অভিভাবক জানান , দেওয়ালে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে তাই ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পাঠাতে পারিনা এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে । দ্রুত অঙ্গনারী কেন্দ্র সংস্কার করা হলে ভীষণ ভালো হয়।
নিত্যানন্দপুর ১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমনি কল্পনা সমাদ্দার জানান , আমার অঙ্গনারী কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই বেহাল দশার কারণে এখানে কেউ পড়াশোনা করাতে ছেলেমেয়েদের পাঠায় না । রান্নাবান্না করার কোন জায়গা নেই তাই পাশের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের সেটে রান্নাবান্না করতে হয় । এছাড়াও তিনি বলেন , যখন সকালে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র হয়ে থাকে তখন আমাদের বসে থাকতে হয় কখন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের রান্না সম্পন্ন হবে । তাই দ্রুত সরকারের কাছে অনুরোধ একটি নতুন ঘর তৈরি করা হোক এবং এই সমস্যার সমাধান করা হোক ।
আর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই বেহাল দশা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী । তিনি জানান , গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে তৃণমূলের নেতারা গরিব মানুষের টাকা লুট করে খাচ্ছে তারা বড়লোক হচ্ছে তারা শাসনের নামে শোষণ চালাচ্ছে । এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন কোন উন্নয়ন হবে না ।
