আপনজন ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন সামরিক জান্তা বাহিনীর প্রধান। মঙ্গলবার মিয়ানমারের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়েছে, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যদি বোকার মতো এভাবে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে এর জন্য ভুগতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। এসব সশস্ত্র সংগঠনকে তাদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারে এক ডজনের বেশি সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এদের অনেকে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে যৌথ হামলা শুরু করে। ওই প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি শহর বিদ্রোহীরা দখলে নেয়।সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য এখন তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।জাতিসংঘের মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর শিশুসহ ২৫০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। দেশজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাতের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে। গত সপ্তাহে পিডিএফ যোদ্ধারা জানান, পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের রাজধানীর কিছু অংশ তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুরো শহর থেকে জান্তা বাহিনীকে হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct