আপনজন ডেস্ক: নেদারল্যান্ড সরকার ইসরায়েলকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে তিনটি মানবাধিকার সংগঠন। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফাম নোভিড এবং রাইটস ফোরাম সোমবার হেগের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে নেদারল্যান্ডর সরকারের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ডাচ সরকার যদি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে তাহলে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধাপরাধের অংশীদার হবে নেদারল্যান্ড। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আইনজীবীরা আদালতকে বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজার উপত্যকার ওপর নির্দয় যুদ্ধে ইসরায়েল এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। ইসরায়েল গত প্রায় দুই মাসে বিমান হামলা চালিয়ে গাজা উপত্যকার অন্তত ১৫,৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে যাদের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। আইনজীবী লিয়েসবেথ জেগভেল্ড সোমবারের শুনানিতে বলেছেন, ডাচ সরকারকে অবিলম্বে ইসরায়েলের কাছে এফ-৩৫ এর যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ডাচ সরকার এই শিপমেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য। গণহত্যা বন্ধ করার জন্য গণহত্যা বিষয়ক চুক্তিতে এ কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।হেগের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আরো বলেছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বিষয়ক আইনের প্রতি ন্যুনতম ভ্রুক্ষেপ করছে না। গাজায় হামলা চালানোর সময় সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হচ্ছে না।আমেরিকায় তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ নেদারল্যান্ডের উয়েন্সড্রেচট বিমান ঘাঁটিতে মজুদ রেখেছে ওয়াশিংটন। যেসব সরকারের হাতে এই যুদ্ধবিমান আছে তাদের প্রয়োজন হলে ইউরোপের এই দেশটি থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হয়।গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় বর্বরোচিত বিমান হামলা শুরু করার দু’সপ্তাহের মাথায় ডাচ সরকার তেল আবিবকে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দেশটির শুল্ক বিভাগ সরকারের কাছে একথা জানতে চায় যে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করা সত্ত্বেও তেল আবিবকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হবে কিনা। এরপরই বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো নড়েচড়ে বসে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct