সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস পেতে আদালতে মরিয়া হয়ে উঠলেন মানিক ভট্টাচার্য।ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয় মঙ্গলবার স্বশরীরে। সেই শুনানি চলাকালীনই নিজের আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মানিক ভট্টাচার্য।মানিক ভট্টাচার্য বিচারককে বলেন - ১০ ই অক্টোবর অর্থাৎ প্রায় ১ বছর আগে তাঁকে যখন গ্রেফতার করা হয় সেই সময় তিনি ইডির অফিসেই ছিলেন এবং সেই সময় তাঁর কিছু ব্যক্তিগত জিনিস যার মধ্যে আংটি, মাদুলি, পৈতে এরকম ৬-৭ টি জিনিস গভীর রাতে (রাত ১২ টায়) ইডি অফিসার মিথিলেশ মিশ্র, বিজয় কুমার এবং সুরেন্দ্র কুমার তাঁরা কাছ থেকে সেই জিনিস গুলো নিয়ে নিয়েছিল। ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময়। এর পরবর্তী সময়ে তাঁকে সেই জিনিসগুলো ফেরত দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই জিনিসগুলো মানিককে ফেরত দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে মানিকের এও অভিযোগ এই জিনিসগুলো সিজার লিস্টে সিজার বলে দেখানো হয়নি এবং তাঁর কাছ থেকে এই জিনিস গুলো যে নেওয়া হয়েছে তার বেসিসে কোনো ডকুমেন্টসও দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি এর আগেও একাধিকবার যখন তিনি আদালতে এসেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক থেকে শুরু করে পিপিকে (সরকারি আইনজীবীকে) তিনি জানিয়েছিলেন । কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারকের কাছে তিনি আবেদন করেন সেই সমস্ত ব্যাক্তিগত জিনিস গুলো ফেরত পান সেই ব্যবস্থা অনুগ্রহ করে গ্রহণ করুক আদালত।এরপর বিচারক বলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফের আবেদন করুন।
মানিক ভট্টাচার্যর এরপরের বক্তব্য ছিল - এই তিনজন ইডি অফিসারের মধ্যে একজন ইডি অফিসার বদলি হয়ে গেছেন। বাকিরাও যদি বদলি হয়ে যান, তার ব্যক্তিগত জিনিস পাওয়াটা অসুবিধা হবে। যেহেতু এই জিনিসগুলো সিজার করা হয়নি তাই এই জিনিসগুলো পেতে মরিয়া তিনি। অর্থাৎ আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য।নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পার্থ ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। এই শুনানিতে অর্পিতার আইনজীবী জানান, অর্পিতার ঠিক মত চিকিৎসা হচ্ছে না ।বিচারক অর্পিতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন কথা বলেন। ভার্চুয়ালে এবং জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন ভার্চুয়ালে।জেল কর্তৃপক্ষকে বিচারক বলেন - জেল কোর্ড অনুযায়ী অর্পিতার যাবতীয় দায়িত্ব আপনাদের । তাই আপনাদের তরফে যেন কোনো রকম গাফিলতি না হয়। জেল কর্তপক্ষের তরফে অর্পিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হলে বিচারক তা দেখে বলেন ,একটি x-ray ও দাঁতের স্ক্যান করার কথা উল্লেখ করা আছে ।ওটা যেন তারাতারি হয়। বিচারক বলেন, আমরা জানি sskm রাজ্যের একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে ওখানে সমস্ত রকম চিকিৎসা হবে । এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার কুন্তল ঘোষ, পার্থ মাঝি, কৌশিক সেন ,নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মন্ডলকে আলিপুরের সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে তোলা হয় ।কুন্তল ঘোষে আরেকটি মামলা আছে সেই কারণে জেল থেকে ভার্চুয়াল শুনানি হয় কুন্তল ঘোষের । সেই কারণে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে কুন্তল ঘোষ উপস্থিত হন নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct