আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস। শনিবার দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স পরিদর্শনের পর তিনি গাজায় হাসপাতালের অবস্থা ‘অকল্পনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, হাসপাতালটিতে এক হাজার রোগীর ভিড়, যার এর স্বাস্থ্যসেবা ক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি। হাসপাতালের প্রতিটি কর্নার আহত মানুষজনে ভরা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন, রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে, ব্যথায় চিৎকার করছে। স্বাস্থ্যসেবা অপর্যাপ্ত- স্বাস্থ্যসেবার বিধানের জন্য যা অকল্পনীয়। আমরা যা দেখছি, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার মতো শক্তিশালী শব্দ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গাজার হাসপাতালের করিডর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ ও মৃত ব্যক্তিদের ভিড় লেগে আছে। মরদেহে উপচে পড়ছে মর্গ।জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলে মাত্র ৫টি হাসপাতাল আংশিক সচল আছে। আর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সচল আছে ১১টি হাসপাতালের মধ্যে ৮টি হাসপাতাল।আল জাজিরা অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলকে এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে ইসরায়েল। বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সেদিন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িসহ গাজার কোনো অবকাঠামোই বাদ যায়নি।ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর ২৪ নভেম্বর থেকে তিন দফায় ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির পর গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct