আপনজন ডেস্ক: লা আভর ০ - ২ পিএসজি পরিস্থিতির শিকার পিএসজিকে ম্যাচের ১০ মিনিটেই নামাতে হয়েছে দুজন বদলি! একটি চোট, অন্যটি লাল কার্ডের কারণে। পরের কারণটা নির্ঘাতভাবে পিএসজির বেশি ক্ষতি করেছে। কেউ চোটে পড়ে মাঠ ছাড়লে আরেকজনকে খেলানো যায়। কিন্তু লাল কার্ড দেখলে তো আর সেই সুযোগ নেই। পিএসজিকে তাই পরের ৮০ মিনিট ১০ জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। তবে এক খেলোয়াড় কম নিয়েও সমস্যা হয়নি। দুই সতীর্থ ফাবিয়ান রুইজের গুরুতর চোট আর জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার লাল কার্ডের ধাক্কা সামলে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। নবাগত লা আভরের বিপক্ষে জয়ের ব্যবধান ২-০। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৮৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ভিতিনিয়া। এ জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ-এর শীর্ষস্থান আরও দৃঢ় করল প্যারিসের ক্লাবটি। ১৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৩৩। দুইয়ে থাকা নিস সমান ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। আজকের হারে লা আভর রয়ে গেল নবম স্থানেই। ১৫ বছর পর ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে উঠে আসা লা আভর পিএসজির বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ২০০৯ সালে। পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে হওয়া সেই ম্যাচে হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। তবে আগের পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকা লা আভর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই ঘরের মাঠ স্তাদে ওশাঁয় খেলতে নেমেছিল। ম্যাচের ৭ মিনিটে দারুণ কিছুর আভাসও দেয়। দালের কুজইয়ায়েভের কর্নার কিক থেকে বক্সের জটলায় বল পান মোহাম্মদ বায়ো। তাঁর প্রচেষ্টা পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা রুখে দেন। ফিরতি শটে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন গাওতিয়ের লরিস। তবে গোললাইন থেকে লরিসের শট ফিরিয়ে দেন কার্লোস সোলের। পরের মিনিটেই পিএসজির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে রুইজের চোট। ২৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কাঁধে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন। তাঁর বদলি নামেন উরুগুয়ের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মানুয়েল উগারতে।
এ ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেকে আরেক বদলি নামাতে হবে, তা কে জানত! না, এবার কোনো চোট নয়। প্রতিপক্ষের লম্বা করে বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে সামনে এসে পড়া লা আভরের স্ট্রাইকার জোসু কাসিমিরের ঘাড়ে লাথি মেরে বসেন দোন্নারুম্মা। কাসিমির মাঠে লুটিয়ে পড়লে দোন্নারুম্মাকে সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি বাস্তিয়েন দেচেপি। এনরিকেকে বাধ্য হয়ে নতুন গোলরক্ষক আরনাউ তেনাসকে নামাতে হয়। তেনাসকে সুযোগ করে দিতে উঠে যেতে হয় এ মৌসুমেই লিওঁ থেকে পিএসজিতে নাম লেখানো তরুণ ফরোয়ার্ড ব্রাডলি বারকোলাকে।তবে জোড়া ধাক্কা দ্রুতই সামলে নিয়ে গোছানো ফুটবল খেলতে শুরু করে পিএসজি। সেটার সুফল পেতেও দেরি হয়নি। ২৩ মিনিটে এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। বক্সের কিনারে এমবাপ্পেকে ওত পেতে থাকতে দেখে তাঁর উদ্দেশে নিখুঁত পাস বাড়ান উসমান দেম্বেলে। ‘শেষ আঁচড়’ দিতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। এবারের লিগে এটি তাঁর ১৫তম গোল। আর প্রতিযোগিতার সর্বশেষ তিন ম্যাচে পঞ্চম। দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণ ঠিক রেখে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকে পিএসজি। ৭৪ থেকে ৭৫—এক মিনিটের মধ্যে রান্দাল কোলো মুয়ানি, মিলান স্ক্রিনিয়ার ও লুকাস এরনান্দেজ বদলি নামলে তাদের আক্রমণগুলো আরও গতি পায়। এমনি এক আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোল পায় এনরিকের দল। গোলটা ভিতিনিয়া করলেও তাতে বড় অবদান শুরুতেই বদলি নামা উগারতের। নিজের শরীরকে ঘুরিয়ে লা আভরের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান উগারতে। এরপর বল বাড়ান ভিতিনিয়াকে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে সহজেই ফাঁকি দিয়ে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct