কেন্দ্রের মসনদে দ্বিতীয়বারের মতো ‘সম্রাটের’ ভূমিকায় নরেন্দ্র মোদি। তার শাসনামলে দেশের মুদ্রাস্ফীতি তলানিতে, বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্বেষের মাত্রা। যদিও নির্বাচনে ডাক দিয়েছিলেন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। বাস্তবে তার যথার্থ প্রতিফলন না ঘটলেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে নিজের ইমেজ তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন। তা নিয়ে আলোকপাত করেছেন ড. দিলীপ মজুমদার।
আমাদের চন্দ্রযান-৩ যেদিন চাঁদের মাটি স্পর্শ করে সেদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিদেশে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। জোহানেসবার্গ থেকে তিনি অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে চন্দ্রযানের চন্দ্রে অবতরণের দৃশ্য দেখেন। তারপর বিদেশে তিনি ভারতের ডঙ্কা বাজান। খুবই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের চন্দ্রযানের সাফল্য কম নয়। চাঁদের যে মেরুতে অন্য কোন দেশের চন্দ্রযান অবতরণ করে নি, সেখানে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ভারতের ডঙ্কা বাজানোর সঙ্গে নিজের ডঙ্কা বাজাতে ভোলেন নি। দেশে ফিরে দিল্লিতে না গিয়ে তিনি সোজা চলে আসেন বেঙ্গালুরুতে। রোড শো করে তিনি চলে আসেন ইসরোর টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যাণ্ড কম্যাণ্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রযান-৩এর নেপথ্য কাহিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন। জানি না সে সময় তাঁর মনে পড়ছিল কি না ‘টেলিগ্রাফ ‘ পত্রিকার কথা, যারা তাঁকে ‘সায়েন্স লরিয়েট’ উপাধি দিয়েছে। তারপর ‘জয় বিজ্ঞান’ ধ্বনি তুলে তিনি চাঁদের জমির নামকরণ করেন। তিনি বলেন, “ আমাদের বিক্রম ল্যাণ্ডার চাঁদের যে অংশে নেমেছে সে ছবি আমি দেখেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের ওই অংশে কোন দেশ পা ফেলতে পারল। আর সে ছবি গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে। চন্দ্রযান-৩ কেবল ভারতের নয়, মানব সভ্যতার সাফল্য। চাঁদের যে মাটির যে অংশে বিক্রমল্যাণ্ডার অবতরণ করেছিল সেই অংশের নাম হবে শিবশক্তি। ‘‘শিবশক্তি’ নামকরণের কারণও ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শিব নামের মধ্যে মানব সভ্যতার কল্যাণের সংকল্প রয়েছে। আর শক্তির মাধ্যমে ওই সংকল্প পূরণ করার সাহস তৈরি হবে আমাদের মধ্যে। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যুক্ত থাকার অনুভূতি জোগাবে চাঁদের শিবশক্তি পয়েন্ট। যে মনোযোগ দিয়ে আমরা কর্তব্য পালন করি, বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা এবং বিচারের অগ্রগতি লাভ করি আর কল্যাণমূলক সংকল্প নিই,সে ক্ষেত্রে এই শক্তির প্রয়োজন রয়েছে আমাদের। দেশের নারীশক্তিও এই চন্দ্রাভিযানে বিশাল ভূমিকা নিয়েছে। চাঁদের শিবশক্তি পয়েন্ট ভারতের সেই মহিলা শক্তির প্রতীক হয়ে থাকবে। “চেয়ারম্যান সোমনাথের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলছিলেন, এমন সময়ে সেখানে এসে দাঁড়ালেন কয়েকজন তরুণ বিজ্ঞানী। একটা অনুরোধ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা এক চা-চক্রে মিলিত হতে চান। সেখানে ঘরোয়া বৈঠক হবে। রাজি হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।মিশন কমপ্লেক্সের ডান দিকে ছিল বিশাল এক হলঘর। তরুণ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সেখানে এলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিচয়পর্ব শেষ হল। চা-পান শেষ হল। তারপর একজন তরুণ বিজ্ঞানী উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, স্যার..তাঁকে থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এসব আংরেজি শব্দ নয়। তুমি আমাকে প্রধানমন্ত্রীজি বা মোদিজি বলতে পারো।বিজ্ঞানীটি বললেন, মোদিজি, আপনি খুব ঘুরতে ভালোবাসেন না?স্মিত হেসে মোদিজি বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি পরিব্রাজক।--শুধু দেশে নয়, আপনি তো প্রায়ই বিদেশে যান। কে যেন বলেছিল, ভারতের আর কোন প্রধানমন্ত্রী আপনার মতো এত দেশ ঘোরেন নি। মোদিজি উত্তরে বলেন, সাধে কি যাই? বিদেশের মাটিতে ভারতের ডঙ্কা বাজাতে হবে না! আর একজন বিজ্ঞানী বলেন, মোদিজি আপনার তো কোন পরিবার নেই, সংসারের বন্ধন নেই, স্ত্রী থাকতেও নেই, আপনার নিঃসঙ্গ লাগে না?ভারিক্কি চালে মোদি বললেন, কিসের নিঃসঙ্গতা? মনটাকে বড় করতে হয়। তখন বুঝতে পারবে দেশে দেশে আমাদের ঘর আছে।তারপর একটু থেমে মোদিজি বলেন, কিন্তু এসব ব্যক্তিগত কথা কেন? তোমরা বিজ্ঞানের কথা বলো, বিজ্ঞানের বিজয়ের কথা বলো। কতবড় সাফল্য বলো তো! আমি খুব গর্বিত যে আমি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই অসম্ভব সম্ভব হল। সেই সাফল্য অর্জনের জন্য আমি সব রকম সাহায্য দিয়েছি, তাগিদ দিয়েছি।কর্নাটকের এক বিজ্ঞানী বললেন, মোদিজি, আমার একটা অনুরোধ আছে।--বলে ফেলো।--- চন্দ্রযানের এই সাফল্যকে রাজনীতির ব্যাপারে, নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করবেন না।
অবাক হলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ব্যবহার করব না? বলো কি? এটা যে এখন আমার তুরুপের তাস। একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আজ মণিপুর তো কাল হরিয়ানা। তার উপর সুপ্রিম কোর্টের সিজিআই। তার উপর নাগপুর লবি আর গোরক্ষপুর লবি। ঘরভেদী বিভীষণেরা তো আছেই। সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি, চন্দ্রাভিযানের সাফল্যকেও ব্যবহার করতে হবে।তামিলনাড়ুর এক তরুণ বিজ্ঞানী বললেন, মোদিজি, আমাদের ইসরোর একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এ সাফল্য হঠাৎ আসে নি। আপনাকে একটু স্মরণ করিয়ে দিই। মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বিক্রম সারাভাইএর অনুরোধে তখনকার প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৬২ সালে পরমাণু শক্তিবিভাগের ( ডি. এই) অধীনে ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ ( ইনকোসপার) প্রতিষ্ঠা করেন। ডি.এই-র মধ্যে ইনকোসপার বিকশিত হয়ে ১৯৬৯ সালে তৈরি হয় ইসরো। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার মহাকাশ কমিশন ও মহাকাশ বিভাগ (ডস ) গঠন করেন। ইসরোকে ডসের অধীনস্থ করা হয়। মহাকাশ প্রযুক্তি ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান-এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডসের দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল সোবিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে। ১৯৮০ সালে ইসরো এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে যে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে তার নাম আর এস-১। মোদিজির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি অসন্তুষ্ট হচ্ছেন। কোন ঋদ্ধিযুক্ত পুরুষ পরের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন না। এ কথা বলে গেছেন দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর ‘রামায়ণী কথা’ বইতে।বক্তাকে থামিয়ে মোদিজি হাসার চেষ্টা করে বললেন, এই ঘরোয়া বৈঠকে ইতিহাসের কচকচি ভালো লাগছে না। বাংলার এক তরুণ বিজ্ঞানী উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, আমার একটা প্রশ্ন ছিল।--বলে ফেলো।--আপনি চাঁদের জমির নামকরণের আগে একটা ধ্বনি দিয়েছিলেন। --ঠিক,ঠিক। আমি ‘জয় বিজ্ঞান’ ধ্বনি দিয়েছিলাম।-কেন এ রকম ধ্বনি দিয়েছিলেন?--বারে, দেব না! বলো কি! বিজ্ঞানের জন্যই তো এ রকম অসাধ্য সাধন হয়েছে।--আপনি আধুনিক বিজ্ঞান মানেন?অবাক হয়ে মোদিজি বলেন, এ সব কি বলছ তুমি!--আপনি যদি অভয় দেন তাহলে বলি।--নিশ্চয়ই। বলো তুমি।-- গত কয়েক বছর ধরে আপনি আর আপনার দলের লোকেরা বলে চলেছেন যে আধুনিক বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার নাকি বেদে আছে। এমন কি বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০২তম অধিবেশনে ক্যাপ্টেন আনন্দ জে বোদাস বলেছেন ৭ হাজার বছর আগে মহর্ষি ভরদ্বাজ না কি তাঁর ‘বৈমানিক শাস্ত্র’ বইতে এমন বিমানের উল্লেখ করে গেছেন। সে বিমান শুধু একদেশ থেকে অন্য দেশে নয়, এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহেও পাড়ি দিতে পারত। সে বিমানর প্রযুক্তি এমনই ছিল যে মাঝ আকাশে বিমানকে স্থিরভাবে ভাসিয়ে রাখা যেত। এই বিমানে জ্বলানি হিসেবে ব্যবহার করা হত গরু বা হাতির মূত্রকে।বিজ্ঞানীর কথা শুনতে শুনতে মোদিজির মুখের রেখা কঠোর হয়ে উঠছিল। কিন্তু এই রকম পরিবেশে ক্রোধ প্রকাশ করা ঠিক হবে না ভেবে তিনি চুপ করে বসে রইলেন। এদিকে গরুর কথা শুনে ওড়িশার এক বিজ্ঞানী হাসতে হাসতে বলে বসলেন, গরুকে নিয়ে আপনাদের অবসেশন আছে মোদিজি। আপনারা বলে বেড়ান গরুর দুধে সোনা আছে, গরু অক্সিজেন গ্রহণ ও ত্যাগ করে, বাড়ির দেওয়ালে গোবর লেপে রাখলে ভূমিকম্পের হাত থেকে রেহাই মেলে।
সভায় হাসির রোল উঠল।এ হাসি যে ব্যঙ্গের, মোদিজি বুঝতে পারলেন। রাগে তাঁর শরীর জ্বলতে লাগল। তাঁর মনে হল এই ছোকরাগুলি হয় আরবান নকশাল, না হয় টুকরা টুকরা গ্যাংএর সদস্য। এদের পেছনে লেলিয়ে দিতে হবে সিবিআই বা ইডিকে। দিল্লি গিয়েই তিনি সঞ্জয় মিশ্রকে ডেকে পাঠাবেন।মনের ভাব মনে চেপে রেখে মোদিজি বিজ্ঞানীদের হাসিতে যোগ দিলেন সপ্রতিভভাবে। যেন তিনি এসব ব্যঙ্গের অনেক ঊর্ধ্বে।হাসতে হাসতে পেছনের দিক থেকে কোন এক বিজ্ঞানী বলে উঠলেন, আরে আমাদের মোদিজিও কম যান না! তিনি বলেছেন প্রাচীন ভারতে না কি প্লাস্টিক সার্জারি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল।আবার হাসির রোল উঠল কিছুক্ষণ পরে দিল্লির এক তরুণ বিজ্ঞানী গম্ভীর গলা্য় বললেন, মোদিজি আপনি কি জানেন ?--কোন ব্যাপার বলতো!-- একটি ইংরেজি সংবাদপত্র আপনাকে ও আপনার কয়েকজন সহকর্মীকে সায়েন্স লরিয়েট উপাধি দিয়েছে!এবার উৎসাহিত হলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, কেন উপাধি দেওয়া হয়েছে? কাকে কাকে দেওয়া হয়েছে? ততোধিক গম্ভীর গলায় বিজ্ঞানীটি বলেন, অভিনব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য নরেন্দ্র মোদি, জগদীপ ধনখাড়, বিপ্লব দেব, অনন্তকুমার হেগড়ে, ত্রিবেন্দ্রকুমার সিং, রঞ্জিত শ্রীবাস্তব . গিরিরাজ সিং, সত্যপাল সিং,প্রজ্ঞা ঠাকুর, হর্ষবর্দ্ধনকে সায়েন্স লরিয়েট উপাধি দেওয়া হয়েছে। মোদিজি বুঝতে পারলেন তাঁকে একা পেয়ে রগড়ে মেতেছে বিজ্ঞানীরা। কি করে বেরোনো যাবে এই চক্রব্যূহ থেকে?বিহারের এক বিজ্ঞানী বললেন, জানি আপনি নামকরণ করতে খুব ভালোবাসেন। দেশের নানা জায়গার মুসলমানি বা খ্রিস্টানি নাম বদলে হিন্দু নামকরণ করেন। কিন্তু মোদিজি চাঁদের জমির ‘শিবশক্তি’ নামটা ঠিক হয় নি। এতে অন্য দেশের কাছে ভুল বার্তা যাবে।--কেন? কেন?-এ নাম আপনি হিন্দুশাস্ত্র থেকে নিয়েছেন। অন্য দেশের লোক ভাববে চাঁদে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আপনি এই নাম দিয়েছেন।এই বিজ্ঞানীর কথা শেষ হতে না হতে বাংলার বিজ্ঞানীটি উঠে দাঁড়ালেন। এবার একটু ভয় হল মোদিজির। বাঙালিরা যে ত্যাঁদোড় টাইপের সে কথা তিনি গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে বুঝেছিলেন। এ আবার কি বলবে কে জানে! বাঙালি বিজ্ঞানী বললেন, আমার অনুরোধ এবার থেকে অপবিজ্ঞানের খেলা বন্ধ করুন। আচ্ছা, আপনি বাঙালি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার নাম শুনেছেন? মোদিজি ঘাড় নাড়তে বিজ্ঞানী বললেন, মেঘনাদ সাহার জীবনের একটা গল্প বলি শুনুন। ঢাকা শহরের এক উকিল তাঁর গবেষণার বিষয় জানতে চাইলে মেঘনাদ সাহা উৎসাহের সঙ্গে তা বিবৃত করেন। সব শুনে উকিলটি বললেন যে এইসব গবেষণার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই, কারণ এ সমস্তই বেদে আছে। ড. সাহা জানতে চান বিজ্ঞানের তত্ত্ব বেদের কোন অংশে আছে। উত্তরে উকিলটি বলেন যে বেদ তিনি পড়েন নি, তবে তাঁর বিশ্বাস বেদে সবই আছে। এর পর কয়েক বছর ড. সাহা গভীর অভিনিবেশের সঙ্গে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ পড়েন। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও তিনি তাদের মধ্যে বিজ্ঞানের তত্ত্ব দেখতে পান নি। এই পর্যন্ত বলে একটু থেমে বাঙালি বিজ্ঞানী বলেন, আপনারা হলেন সেই উকিলের উত্তরসূরী। মোদিজি বুঝতে পারলেন বিপদ ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। ব্যাপারটাকে লঘু করার জন্য তিনি বললেন, এ সব জুমলা। রাজনীতিকদের এ রকম জুমলা করতে হয়। সভা ভরে গেল অট্টহাস্যে। চারিদিকে ‘জুমলা’ শব্দটি প্রবলবেগে ধ্বনিত হতে লাগল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct