আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: বিকল্প জমি থাকা সত্বেও চাষির দখলে থাকা সরকারী কৃষি জমিতে সলিড ওয়েস্টেজ ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প করায় আন্দোলন নামলো গ্রামবাসীদের একঅংশ। বিষয়টি নিয়ে সরকারি বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছেন তারা। তবে সুরাহা না মেলায় এদিন কৃষি জমিতে দাড়িয়ে প্লাকার্ড হাতে আন্দোলন নামেন। তাদের দাবী, বিকল্প সরকারী জমি থাকা সত্ত্বেও গলসি ১ নং ব্লকের লোয়া কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাদের গ্রামের একটি চাষির পরিবারের দখলে থাকা সরকারী কৃষি জমি কেড়ে নিচ্ছেন।
দখলে থাকা জমি মালিক, আনোয়ার মোল্লা, দেলোয়ার মোল্লা, আলি হোসেন মোল্লারা বলেন, ৩০ কাঠা ওই জমিটি তারা দীর্ঘ ৬০ বছর পূর্ব থেকে চাষ করে আসছেন। ওই সময় এলাকার জমিদার তাদের পরিবারকে জমিটি দিয়েছিলেন। পরে খাস করা হলেও তারাই জমিটি চাষ করতেন। তবে জমিটি তাদের নামে রেকর্ড নেই। বর্তমানে তারাই জমিটিতে সরিষা চাষ করেছেন। এখন পঞ্চায়েত প্রধান জমিটি কেড়ে নিচ্ছেন। বিকল্প খাস জমির একটি দাগ নম্বর তারা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে দিয়েছেন। তাছাড়া গলসি ১ নং ব্লক বিএলআরও, বিডিও ও গলসি থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। তাদের দাবী, সেখানে সরকারী ওই প্রকল্প নির্মাণ হলে সবার ভালো হবে। গ্রামবাসী দেলোয়ার সেখ রকিবুল মন্ডল সহ বেশকিছু গ্রামবাসীর দাবী, গরীব চাষি পরিবারের দখলে থাকা কৃষি জমিটি ছেড়ে অন্য খাস জমিতে সরকারের প্রকল্প হোক। গরীব চাষির জমি জোরপূর্বক নেওয়া বন্ধ করুক সরকার। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিটি চারটি পরিবার চাষ করেন। বিষয়টি নিয়ে লোয়া কৃষ্ণরামপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিরাজ মল্লিক বলেন, সকলের সুবিধার্থে ওই প্রকল্পটি সরকারের জায়গায় করা হচ্ছে। আমি পঞ্চায়েত প্রধান হবার আগেই ওই জায়গাটি ঠিক হয়েছিল। প্রকল্পের জন্য সামান্য জায়গা নেওয়া হচ্ছে। বাকি জায়গা তাঁরা চাষ করতে পারবেন। বিকল্প জায়গায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা আমি বলতে পারবো না। কাজ কতটা এগিয়েছে এটা উপর নেতৃত্ব করছে। এটি পঞ্চায়েত লেবেলের কোন প্রোজেক্ট নয়। এটা জেলা থেকে রাজ্যে থেকে প্রোজেক্ট আছে। ব্লকের যারা বিএলআরও বিডিও আছেন তারা কাগজের ব্যাপারে দেখছেন। ওখান থেকে যা করবে সেইমতো কাজ হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct