আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের নানা দেশে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) তিউনিসিয়া, মিসর, ওমান, ইরাক, ডেনমার্ক, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এশিয়া ও ইউরোপের বড় শহরগুলোতে র্যালি, সভা, মিছিলসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও দখলদারিত্বের অবসান ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা অধিকার নিশ্চিত করতে বলা হয়। তা ছাড়া আরব ও মুসলিমবিশ্বের দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে গাজাসহ ফিলিস্তিনে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি দৃঢ় সমর্থণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতার, আমিরাত, জর্দান, মিসর, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও আরব লিগের মহাসচিব এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তারা গাজা উপত্যাকার বর্তমান পরিস্থিতি, বন্দিমুক্তি, মানবিক যুদ্ধবিরতিসহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ওপর জোর দেন। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিসরের কায়রোতে আরব লিগের অফিসের সামনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরব লিগের ফিলিস্তিনবিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত সাইদ আবু আলী বক্তব্য দেন। এদিকে দিবসটি স্মরণীয় রাখতে রেডিও জর্দানের উদ্যোগে আরবি ভাষার ১১টি রেডিও সমন্বিতভাবে প্রগ্রাম সম্প্রচার করে। তা ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে র্যালি বের করেন ফিলিস্তিনিরা।১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৮১ রেজোলিউশন প্রকাশিত হয় যেখানে ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদিদের জন্য দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করার কথা বলা হয়। এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর সেই প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।এ বছর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিকালে দিবসটি এসেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এরপর কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সাময়িক যুদ্ধবিরতি। এ সময়ে ইসরায়েল ও হামাসের বন্দি ও জিম্মি বিনিময় চলছে। মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গাজায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসভর্তি এক হাজার ট্রাক প্রবেশ করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct