আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের ইতিহাসের ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়’ সহ্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।২৯ নভেম্বর ‘ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।বিবৃতিতে তিনি গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে জিম্মি সব বন্দীদের মুক্তির জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।গত ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা জানিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তিকে ন্যায্যতা দিতে পারে না।’তিনি গাজায় ‘জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর অবাধ প্রবেশাধিকার, সব জিম্মি মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে চলমান যুদ্ধবিরতিতে গাজা উপত্যকা পরিদর্শন করে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, ‘দুঃখ ও বিষাদ গাজায় শিকড় গেড়েছে’।মঙ্গলবার ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে ভবনের পর ভবন মাটিতে মিশে যাওয়া দেখেছি। মানুষজনের চোখেমুখে শুধু বেদনা ও হাহাকার...গাজায় যেন দুঃখ এবং বিষাদ শিকড় গেড়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র এখানে হাজার হাজার শিশু আছে, যাদের এখন কোনো স্কুল নেই, তারা ভিড়ে ঠাসা শরণার্থী শিবিরে রয়েছে, ঠান্ডায় কষ্ট করছে, তাদের পর্যাপ্ত খাবার নেই, পর্যাপ্ত পানি নেই, তারা এখন রোগের প্রাদুভার্বের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’আল জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের তালিকায় ৬ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।মঙ্গলবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চলমান যুদ্ধবিরতিতে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে, বিশেষ করে গাজা শহর ও উত্তর গাজা উপত্যকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিদিন ১ হাজার ট্রাক ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। জীবনের চাকা থেমে গেছে গাজায়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct