নিজস্ব প্রতিবেদক, নামখানা, আপনজন: ঘাটে জমেছে পলি। যার ফলে কাদা মাড়িয়ে পার হতে হচ্ছে নদী। চরম সমস্যায় স্কুল পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসীরা।নদীতে পলি পড়ে যাওয়ার কারনে ঘাট সম্পুর্ন ভাবে ঢেকে গিয়েছে পলিতে। প্রতিনিয়ত কাদা মাড়িয়ে এসে ধরতে হচ্ছে ফেরি নৌকা।চরম সমস্যাতে পড়েছে গোটা গ্রামের মানুষ। রাত হলেই বাড়ে দুর্ভোগ। অভিযোগ বারে বারে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দন পিড়ি খেয়াঘাটের বেহাল পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে । দীর্ঘ দিন পলি না কাটায় পলিতে ঢেকে গিয়েছে গোটা ঘাট চত্বরে। যার ফলে প্রতিদিন এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে নদী পারাপার করতে হয় নিত্য যাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়াদের। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি গ্রাম চন্দনপিড়ি ও অপর দিকে হরিপুর গ্রাম মাঝে বয়ে গিয়েছে সুন্দরিকা দোয়ানিয়া নদী। প্রতিনিয়ত নদীতে পলি পড়ে যাওয়ার জন্য চন্দনপিড়ি দিকে ঘাটিটি ঢেকে গিয়েছে । প্রতিদিন প্রায় হাজারের বেশী মানুষের যাতায়াত এই পথ দিয়ে। গ্রাম বাসীদের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিস দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হয় এই পথ দিয়ে ।বারে বারে প্রশাসন কে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। নিজেরাই কয়েক বার পলি কেটে ঘাট পরিস্কার করলেও কয়েক দিন গেলেই আবার আগের পরিস্থিতি হয়ে যায়। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এই সমস্যাতে জর্জরিত গোটা গ্রামের মানুষ। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছে চন্দনপিড়ি এলাকার মানুষজনেরা।যদিও এই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি জানান, হরিপুর এই সমস্যা টা রয়েছে তবে খুব তাড়াতাড়ি ওই খানে জেটি ও বার্জ করা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তার কাজ শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct