আপনজন ডেস্ক: সবার আগে একটা বিষয় পরিস্কারভাবে বুঝে নিন, আপনার সন্তানকে কী শেখাবেন? অভাব নাকি আভিজাত্য? কেউ কেউ সন্তানকে আভিজাত্য শেখান তো অন্য পক্ষ সন্তানকে অভাব শেখান। এখন প্রশ্ন সন্তানকে আসলে কী শেখাবেন? মা-বাবাই একজন মানুষের প্রথম শিক্ষক, তার মানে এই না যে কাগজে-কলমেই শেখাতে হবে। সন্তান মূলত তা-ই শিখবে, যা আপনাদের ভেতরে দেখতে পাবে। তাই মা এবং বাবার আচরণে সংযত হওয়া সবচেয়ে জরুরি। শিশুর সামনে যদি মিথ্যা বলেন, তাহলে শিশু মিথ্যাকেই সহজভাবে গ্রহণ করবে এবং সেও মিথ্যা বলতে শিখবে। আপনার সন্তান হলো আপনার আয়না। আপনার প্রতিবিম্বই তার মাঝে প্রতিফলিত হবে। তাই সবার আগে নিজের দিকে তাকান। নিজের ভেতরে এমন কিছু বসবাস করতে দেবেন না যা সন্তানের মধ্যে দেখতে চান না। অভাব ও আভিজাত্যের লড়াই চলবেই। কিন্তু সবার আগে সন্তানকে শেখাতে হবে, এই দুই জিনিস আসলে কীসে থাকে? মূলত অভাব কিংবা আভিজাত্য থাকে মানুষের স্বভাবে। অনেকেই আছে কিন্তু তারা সন্তুষ্ট নন। আবার অনেকে অল্পতেই খুশি থাকতে শেখেন। সম্পদের হিসাব করলে একজন ধনীর থেকে আরেকজন ধনী, এভাবে অনেক খুঁজে পাওয়া যাবে। আবার গরিবের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এমনই। যিনি যে অবস্থানে আছেন, সেখান থেকে কতটা সুখী বা অভাবমুক্ত, সেটাই আসল। তাই অর্থের অভাব থাকলেও অন্তরের আভিজাত্য যেন নষ্ট না হয়, সন্তানকে সেটাই শেখান। আপনার সন্তানকে একজন ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করুন। এটি থাকতে হবে আপনার স্বভাবে। মা-বাবার মধ্যে ইতিবাচকতা, অন্যের যেকোনো খুশির খবরে আনন্দিত হওয়া, অন্যের কষ্টে কষ্ট পাওয়া, ক্ষমা করতে জানা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে শিশু তা-ই শিখে শিখে বড় হবে। শিশুর মধ্যে কোনো নেতিবাচকতা গড়ে উঠতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সতর্ক করতে হবে। এর ভয়াবহতা তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct