নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: মালদহের চাঁচল মহকুমা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে ড্রাগসের ব্যবসা।চাঁচল সদরে হাসপাতালের পরিত্যক্ত আবাসনেই বসছে ঠেক। আর মহকুমার মধ্যে ড্রাগ সরবরাহের খনি হয়ে উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা।বিহার হয়ে ড্রাগস আমদানি হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালি এলাকায়।সেখান থেকেই ছড়িয়ে যাচ্ছে চাঁচলের বিভিন্ন জায়গায়।মূলত রমরমা ব্যবসা চলছে ব্রাউন সুগার এবং গাজার।এই নেশার কবল থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কিছু যুবকের কাছ থেকে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ফিরেছে এমন বেশ কিছু যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা গেছে,চাঁচলের বিভিন্ন এলাকায় মূলত বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার এবং গাজা। কোথাও বিক্রি হচ্ছে নির্দিষ্ট বাড়ি বা দোকান থেকে।আবার কোথাও ফোন করলেই নির্দিষ্ট স্থানে এসে নেশা দ্রব্য দিয়ে যাচ্ছে পেডলাররা। যে এলাকা গুলোতে ব্রাউন সুগার বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নূরগঞ্জ,চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জীব ও সাহেবগঞ্জ
,মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীশিক এলাকা,ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এলাকা।গাঁজার রমরমা ব্যবস্যা চলছে চাঁচল সদর এবং কলিগ্রামের নিমতলাতেও। মালতিপুর, গোবিন্দপাড়ার বিভিন্ম জায়গাতেও বিক্রি হচ্ছে ব্রাউনসুগার।আরো জানা গেছে চাঁচলের এই এলাকাগুলিতে ব্রাউন সুগারের আমদানি হচ্ছে কালিয়াচক এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কড়িয়ালি এলাকা থেকে। সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতি গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার। কড়িয়ালি বাজার,তালগাছি এবং সোনাপুরে চলছে এই ব্যবসা। সেই জায়গা থেকে ব্রাউন সুগার আনছে চাঁচলের পেডলাররা। চাঁচল এলাকার মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর এই মুহূর্তে ড্রাগ ডিলারদের স্বর্গরাজ্য। ব্রাউন সুগারের নেশার জন্য বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হয়েছে ঠেক। যেখানে বসেই এই নেশা করছে আসক্তরা। এমনি একটি ঠেকের সন্ধান পাওয়া গেছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিত্যাক্ত একটি আবাসনে। আবাসনের ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্রাউন সুগারের নেশার মুল উপকরণ ফয়েল পেপার এবং মোম দেশলাইয়ের কাঠি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁচলের এক যুবক বলেন, আমি এক সময় ব্রাউন সুগারের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। দীর্ঘ দুই বছর চিকিৎসার পর এখন ঠিক আছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct