রঙ্গিলা খাতুন, খোসবাসপুর, আপনজন: কেউ থাকেন কলকাতায়, কেউবা থাকেন আমেরিকায় কিন্তু গ্রামের ছেলে গ্রামের মানুষের টানে মাঝে মধ্যেই ছুটে আসেন কান্দির রায় পরিবার। হ্যাঁ অবাক হচ্ছেন এই যুগে আর গ্রামের কথা কে ভাবে। হ্যাঁ ভাবেন এখনো গ্রামের মানুষকে ভালোবেসে গ্রামের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য ও বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বার বার ফিরে আসেন গ্রামে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী থানার অন্তর্গত খ্যাতনামা গ্রাম খোসবাসপুর, যে গ্রামেই বাড়ি খ্যাতনামা সাহিত্যিক সৈয়দ মোস্তাফা সিরাজের সাহেবের । জানা গিয়েছে এই গ্রামেই খ্যাতনামা রায় পরিবারের বসবাস। যে পরিবারের কৃতী সন্তান ড. অলোক কুমার রায় ও ডাঃ চন্দন কুমার রায়।
যদিও তারা বর্তমানে কর্মসূত্রে আমেরিকায় ও কলকাতায় থাকেন। কিন্তু জন্মসুত্রে গ্রামের প্রতি তাদের শিকড়ের টানকে আজোও ভোলেননি। তাই মাঝে মধ্যেই ছুটে আসেন এই খোসবাসপুর গ্রামে । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একাধিক সামাজিক কাজ করেন। জানা গিয়েছে আমেরিকার ভাবা পরমানু রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ছিলেন ড.অলোক কুমার রায় এবং ডাঃ চন্দন কুমার রায় একজন কৃতী চিকিৎসক তিনি কলকাতায় চিকিৎসা করেন।দুই ভাইয়ের উদ্যেগে খোসবাসপুর গ্রামের প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উৎসাহ দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়,এবং মেধা অন্বেষণ, বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে গ্রামের অভাবী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য করেন এই রায় পরিবার । খোসবাসপুর গ্রামের মানুষ এই উদ্যোক সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন ৩০ বছর ধরে এইভাবে দূরে থেকেও গ্রামের মানুষের সেবা করে চলেছেন। খোসবাসপুর গ্রামে গতকাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ড. অলোক কুমার রায় বলেন, কর্মসুত্রে হয়তো আমাদের বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু এই গ্রামের ধুলো মাখা জীবন আর সবুজে সবুজ ভরা প্রকৃতির টান তার সঙ্গে গ্রামের মানষের অফুরন্ত ভালোবাসা ভুলে থাকতে পারি না। তাই বার বার ছুটে আসি তাদের সুখ দুঃখের ভাগীদার হতে চেয়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct