মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খন্ডঘোষের পুর্বচক গ্রামের একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে তিনজন চাপা পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়ছেন তারা তিনজনই মহিলা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে খন্ডঘোষ, রায়না ও সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গোটা গ্রামের মানুষও।প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় শেষমেষ তিনজন মহিলা কে উদ্ধার করে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হলে তাদের মধ্যে জুলেখা বেগম (৩৩) এর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে বাড়ির মালিকের নাম শেখ হবিবর ইসলাম। আহতরা হলেন প্রতিবেশী মধুরানী বেগম ( ৩৮ ) এবং সাবানা বেগম (২৮)। তাঁরা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বর্ধমান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এস ডি পি ও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে খন্ডঘোষ ও সি সুব্রত বেরা ,রায়না ও সি সৈকত মন্ডল , সেহারা আউট পোস্টের ও সি প্রীতম বিশ্বাস উপস্থিত হয়ে নিজেরা হাত লাগান । গ্রামবাসীদের সঙ্গে খন্ডঘোষের মেজবাবু সাকবির আহমেদ যে ভাবে হাত লাগিয়ে উদ্ধার কার্যে হাত লাগান যা খুবই প্রশংসিত হয় । মেজবাবু সকবির বলেন আমি পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ।এই দৃশ্য চোখে দেখে সহ্য করা যায়না । গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, মাটির দোতলা বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছিল। মাটির মেঝে খুঁড়ে দেওয়ালে লোহার রড ঢোকানোর কাজ চলছিল। নিচ থেকে দোতলায় বেশ কিছু সামগ্রী, আসবাব উপরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির বড় বৌমা জুলেখা বেগম একটি আলমারি সরাতে যাওয়ার সময়ই আচমকা উপরের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে পড়ে আলমারি টির ওপর। এইসময় আরো দুই প্রতিবেশী মহিলা সেখানে ছিলেন। তিনজনই দেওয়াল চাপা পড়ে যায়।বাড়িটির কিছুটা অংশ পাশেই পুকুরের দিকেও ভেঙে পড়ে। আওয়াজ শুনে দ্রুত প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ কে। এরপরই একটি জেসিবি মেশিন নিয়ে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় চাপা পড়া তিনজন মহিলাকেই উদ্ধার করে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পুলিশ। যদিও আহতদের মধ্যে জুলেখা বেগমের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct